গোয়ালন্দে একদিনে তিনজনের করুণ মৃত্যু, এলাকায় শোক

প্রথম ঘটনা ঘটে গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের চর বরাট এলাকায়। স্থানীয় এলাইল ফুরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১১ বছর বয়সী ছাত্র মো. সিয়াম মাদ্রাসায় না যাওয়াকে কেন্দ্র করে বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে ঘরের গোয়ালঘরে আড়ার সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু ঘটে।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা এবং পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে গোয়ালন্দ পৌরসভা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কুমড়াকান্দি গ্রামে। আক্কাস আলী শেখ (৬৩) নামের এক ব্যক্তি তার বাড়ির কোয়েল পাখির খামার থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানো নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে হওয়া বাকবিতণ্ডা ও মারামারি থামাতে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। দ্রুত তাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল হয়েছে। পুলিশ জানায়, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তৃতীয় মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে পদ্মা নদীতে। দৌলতদিয়ার ইদ্রিস মিয়ার পাড়া গ্রামের মোসলেম প্রামানিক (৬৫) শুক্রবার সন্ধ্যায় নদীতে মাছ ধরতে যান। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। শনিবার সকাল ৯টার দিকে পদ্মা নদীর লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি।

নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. এনামুল হক জানান, মোসলেম প্রামানিক আগে থেকেই স্ট্রোকের রোগী ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, মাছ ধরার সময় তিনি স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে নদীতে পড়ে মারা যান। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

পৃথক এই তিনটি ঘটনায় গোয়ালন্দের সাধারণ মানুষ শোকাহত এবং সচেতন মহলে এ ধরনের মৃত্যু ঠেকাতে সামাজিক ও পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়েছে।