সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা এবং ১৯ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গণহত্যার অভিযোগে এই আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। রোববার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টার পর তাদের কয়েকটি প্রিজনভ্যানে করে একে একে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। আদালত সূত্র জানিয়েছে, আজকের শুনানিতে বিচারকের প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার, অন্যদিকে বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী এই প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
এই ১৯ আসামির মধ্যে আছেন, সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি, শাজাহান খান, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, কামাল আহমেদ মজুমদার, সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিম, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম, গোলাম দস্তগীর গাজী, কামরুল ইসলাম, আমীর হোসেন আমু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, ফারুক খান, আনিসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান, এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনার পেছনে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের যে ভূমিকা ছিল, তা নিয়ে দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির একটি সুনির্দিষ্ট তদন্ত চলছে। ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা এ বিষয়ে বিস্তারিত শুনানি করবেন এবং আসামিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদনে জানা যায়, ছাত্র আন্দোলন চলাকালে এই নেতাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা হল, তারা গণহত্যায় যুক্ত ছিলেন এবং ওই সময়কার পরিস্থিতি উসকে দেওয়ার জন্য দায়ী ছিলেন। এই মামলা নিয়ে নানা পর্যায়ে গণমাধ্যম ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনা চলছিল।
আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা তদন্তাধীন রয়েছে, এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হলে দেশে একটি ঐতিহাসিক বিচার প্রক্রিয়া হতে পারে, যা জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে।