হাকিমপুরে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেফতার

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আলিহাট ইউনিয়নের ধাওয়ানশীপুর গ্রামে ৫ আগস্ট ঘটে যাওয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সহিংসতার ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ ঘোষিত সভাপতি আবু রায়হান (২৬)। হাকিমপুর থানা পুলিশ বুধবার (১৬ এপ্রিল) সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। গ্রেফতারকৃত আবু রায়হান হাকিমপুরের আলিহাট ইউনিয়নের ধাওয়ানশীপুর গ্রামের মোকলেছুর রহমানের ছেলে।

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. সুজন মিঞা জানিয়েছেন, গত ৫ আগস্টের ওই সহিংস ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে মোট ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ ৯০-১০০ জন অপরিচিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে হাকিমপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়। নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় নিহতদের পরিবার দাবি করেছে যে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত, এবং পুলিশ সবার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

পুলিশ পরিদর্শক ওসি তদন্ত এস এম জাহাঙ্গীর আলম জানান, গ্রেফতারকৃত আবু রায়হান ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোর রাতে পুলিশের একটি চৌকস দল ধাওয়ানশীপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে আবু রায়হানকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ঘটনায় হাকিমপুর থানার মামলাটি এখনো চলমান রয়েছে, এবং পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে যাচ্ছে। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দাবি, মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করেই তদন্তের পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গত কয়েকদিন ধরে পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে একাধিক অভিযান চালিয়েছে এবং মামলার জটিলতা ও গুরুত্বের বিষয়টি মাথায় রেখে তাদের গ্রেফতারের জন্য তৎপর রয়েছে।

এদিকে, হাকিমপুরবাসী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা আশা প্রকাশ করছেন যে, দ্রুত অন্য আসামিরাও গ্রেফতার হবে এবং সুষ্ঠু বিচার হবে। এটি হাকিমপুর এলাকার জন্য একটি শোকাবহ ঘটনা, যেখানে দুইটি তরুণ প্রাণ ঝরে গেছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।

এদিকে, হাকিমপুর থানার ওসি মো. সুজন মিঞা জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে পুলিশ প্রশাসন এমন সহিংসতা বা অপরাধমূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে।