বাংলাদেশ-ভারত সঙ্গে ‘অসম’ চুক্তি পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তি: দিল্লি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার ৩১শে জানুয়ারী ২০২৫ ১০:০৯ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ-ভারত সঙ্গে ‘অসম’ চুক্তি পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তি: দিল্লি

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো পারস্পরিক নিরাপত্তা ও বাণিজ্যের অন্যতম ভিত্তি বলে মন্তব্য করেছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা আশা প্রকাশ করেছে যে, এসব চুক্তির প্রতি বাংলাদেশ সরকার যথাযথ শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখবে। শুক্রবার সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এসব কথা বলেন।  


চলতি মাসের মাঝামাঝি নয়াদিল্লিতে বিএসএফ-বিজিবির মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, পারস্পরিক সব চুক্তির প্রতি বাংলাদেশ সম্মান জানাবে বলে আমরা আশাবাদী। এসব চুক্তি দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাঠামোগত সম্পর্ক তৈরি করেছে এবং সীমান্ত নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।  


বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সম্প্রতি সীমান্ত ইস্যুতে কিছু চুক্তিকে অসম বলে মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, আগামী ১৭-২০ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ডিজি পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত-সম্পর্কিত সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।  


ভারত মনে করে, দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো পারস্পরিক স্বার্থে করা হয়েছে। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডকে আরও কার্যকর করাই এসব চুক্তির মূল লক্ষ্য। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার জন্য ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েই দায়বদ্ধ।  


দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে এসব চুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও আস্থার মাধ্যমেই সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা সম্ভব। উভয় দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও গভীর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে দিল্লি।  


এদিকে, সম্প্রতি পাকিস্তানি সামরিক প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, আমরা আমাদের আশপাশের পরিস্থিতির ওপর সর্বদা নজর রাখছি এবং যেকোনো প্রয়োজনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। ভারতের পররাষ্ট্রনীতি সবসময় আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পক্ষে কাজ করে।  


বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেবলমাত্র কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক নয়, বরং নিরাপত্তা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ভারত।  


দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা আরও সুসংহত হবে। ভারত মনে করে, আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো মতপার্থক্য দূর করে সমাধানের পথ খোঁজা উচিত, যা উভয় দেশের স্বার্থ নিশ্চিত করবে।