প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫, ১১:২৯
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের ঘটনা নিয়ে উচ্চ আদালতে চলছে গুরুত্বপূর্ণ শুনানি। এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, এটি দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন একটি ঘটনা, যেখানে হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আপিল বিভাগে শুরু হয়েছে এই শুনানি।
সকাল ১০টা থেকে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানির কার্যক্রম শুরু হয়। আপিল বিভাগের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। জামায়াতে ইসলামীর রেজিস্ট্রেশন ফিরে পেতে করা আপিলের শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক এবং শিশির মনির। অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে আবেদনের মূল দাবি ছিল যে, দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে টেকসই নয়। এই প্রেক্ষাপটে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আপিলটি আদালতে খারিজ হয়ে যায়, যেহেতু আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। পরে এই আপিলটি পুনরুজ্জীবনের জন্য আবেদন করা হয়।
২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর আদালত বিলম্ব মাফ করে মামলাটি পুনরুজ্জীবন করে এবং শুনানির জন্য গ্রহণ করে। পরবর্তীতে ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আপিলের ওপর বিস্তারিত শুনানি।
প্রধান বিচারপতির মন্তব্য এই বিষয়ে রাজনৈতিক ও আইনগত পরিমণ্ডলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি ভবিষ্যতের রাজনীতিতে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
শুনানি চলাকালে আদালতের বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ ও প্রশ্ন-উত্তর পর্বে আইনজীবীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি-পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। আদালত স্পষ্ট করেছে, এই মামলার চূড়ান্ত রায় রাজনৈতিক দলের আইনি কাঠামো নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দেশজুড়ে এই শুনানি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে জামায়াত সংশ্লিষ্ট ও বিরোধীদলের নেতারা এই মামলার ফলাফল ঘিরে গভীরভাবে নজর রাখছেন। শুনানির ধারাবাহিকতায় সামনে আরও চমক থাকতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।