যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। গত চারদিন ধরে চলা উত্তেজনার পর শনিবার রাতেই এ সমঝোতা হয়। তবে সিএনএনের সাংবাদিক নিক রবার্টসন দাবি করেছেন, পাকিস্তানের শক্তিশালী পাল্টা আক্রমণের মুখে পড়েই ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছে।
সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রবার্টসন জানান, ভারত যখন পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়, তখন পাকিস্তান প্রবল মিসাইল ও রকেট হামলা চালায়। এতে ভারতের সামরিক স্থাপনা, বিমানঘাঁটি ও অস্ত্র গুদাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এ হামলার মাত্রা আগে থেকে আঁচ করতে পারেনি বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ৭ মে ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করে হামলায় ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এর জবাবে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে, যার মধ্যে তিনটি ছিল রাফাল। এছাড়া ডজনখানেক ড্রোন ভূপাতিত করে পাকিস্তান।
শুক্রবার রাতে ভারত নূর খান, মুরিদ ও শরকোট বিমানঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালায়। এর প্রত্যুত্তরে শনিবার সকালে পাকিস্তান 'অপারেশন বুনয়া নুম মারসূস' চালিয়ে উত্তর ভারতের মিসাইল সংরক্ষণ কেন্দ্রসহ একাধিক স্থানে হামলা করে।
এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। তিনি লিখেছেন, "দীর্ঘ রাতব্যাপী আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ভারত ও পাকিস্তান সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।"
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, পাকিস্তান প্রাথমিকভাবে 'সামরিক বিরতি' দিলেও ভারতের বিমানঘাঁটি হামলার পর পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করে। এতে বিপাকে পড়ে ভারত যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও তুরস্কের মাধ্যমে মধ্যস্থতা চায়।
রবার্টসন তার রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন, পানির অধিকার নিয়ে পাকিস্তানের উদ্বেগ এখনো রয়েই গেছে। তবে আপাতত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে এবং পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই মধ্যস্থতা দক্ষিণ এশিয়ার ভঙ্গুর শান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।