প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৫, ১০:৪৫
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের উপ মুখপাত্র টমি পিগট মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, তারা জানেন যে আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো একক রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। বরং তারা একটি মুক্ত, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দেখতে চায়।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। তাদের ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের অংশীদারিত্বকে মূল্যায়ন করে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভারতও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে এক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, কোনো উপযুক্ত পদ্ধতি ছাড়াই একটি বড় রাজনৈতিক দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের দীর্ঘদিনের প্রতিবেশী এবং ঘনিষ্ঠ অংশীদার। এমন সময়ে রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা ও আইনের শাসন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সেই কারণেই দলটির যাবতীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম আপাতত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সোমবার বিকালে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে বিচার চলমান থাকায় রাজনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হলো।
একই দিন রাতে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নিবন্ধন স্থগিত করে। এই পদক্ষেপে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতি কোন দিকে যাবে তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।