প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৯
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের খোঁজ নিতে শনিবার রাতে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। রাত ৯টা ১০ মিনিটে তিনি হাসপাতালে পৌঁছে আহতদের চিকিৎসা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিনের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা শোনেন প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি তিনি জানতে চান, আহতদের চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি বা অতিরিক্ত প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না। উত্তরে পরিচালক জানান, সরকার প্রয়োজনীয় সবকিছু সরবরাহ করেছে এবং কিছু আন্তর্জাতিক যন্ত্রপাতি বিদেশি চিকিৎসকরা সঙ্গে করে এনেছেন।
বর্তমানে হাসপাতালে চারজন রোগী আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন, নয়জনের অবস্থা গুরুতর এবং ২৩ জন মধ্যম মানের জখমে ভুগছেন বলে জানান অধ্যাপক নাসির। তিনি বলেন, প্রতিটি রোগীকে আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী মূল্যায়ন করে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে, এবং স্থানীয় চিকিৎসকদের পাশাপাশি বিদেশি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও গ্রহণ করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। অধ্যাপক সায়েদুর রহমান জানান, প্রথমে কয়েকটি কাছাকাছি হাসপাতালে রোগীদের নিয়ে যাওয়া হলেও পরে প্রায় সবাইকে বার্ন ইনস্টিটিউট ও সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। এর ফলে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি দেখা দিলেও তা পরে নিরসন হয়।
তিনি আরও বলেন, রোগী পরিবহনের সময়ে অ্যাম্বুলেন্সের সংকট স্পষ্টভাবে বোঝা গেছে, যা দেশের জরুরি স্বাস্থ্যসেবার সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠানোর আহ্বান জানান।
মানসিক পুনর্বাসনের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি দগ্ধদের এবং তাঁদের পরিবারের জন্য ট্রমা কাউন্সেলিং নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন।
পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টা চিকিৎসক, নার্স ও সেবাদানকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বিদেশি সহায়তাকারীদের ধন্যবাদ জানান। তার সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম।