প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৫, ১৯:৪
সারাদেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী শনিবার নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন্স পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই কাজ সফল করতে রাজনৈতিক দলগুলোরও সমর্থন ও ভূমিকা থাকা জরুরি। তিনি আরও বলেন, সংবাদ মাধ্যমে সঠিক তথ্য প্রকাশ হলে বিভ্রান্তি কমে আসবে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া আরো স্বচ্ছ হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে থাকবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এছাড়া তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত মামলাগুলোর তদন্ত বেশ এগিয়ে এসেছে, তবে উদ্দেশ্যমূলক মামলার কারণে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তিনি নিশ্চিত করেছেন, নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়, এজন্য সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
আগে তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে র্যাব-১১ সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ভারতের পুশইন কার্যক্রমের মাধ্যমে গত এক মাসে প্রায় ১৫০০ বাংলাদেশিকে সীমান্ত থেকে আটক করে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই সংখ্যাটা কিছুটা কমেছে। তিনি বলেন, ভারত সরকারের পুশইন প্রক্রিয়া নিয়ম মেনে না চালিয়ে অনেকে নদীর পাড় ও জঙ্গলে ফেলে যাওয়ায় এটি গ্রহণযোগ্য নয়। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং কিছু অগ্রগতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
এছাড়া মোহাম্মদপুরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আলোচিত ছিনতাই মামলায় চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, তদন্ত টিম কাজ করছে এবং দোষীদের কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ অবহেলা করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিদর্শনকালে র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ মজুমদার ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা সকলেই আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে কাজ করছে এবং নির্বাচনের আগে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনের নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের সনাক্তে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। নির্বাচনের আগে এসব পদক্ষেপ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরাপদ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।