প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৫
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ধারাবাহিক আলোচনা রবিবার গিয়ে পৌঁছেছে ১৯তম দিনে। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে সকাল সোয়া ১১টায় এই দিনের বৈঠক শুরু হয়, যেখানে অংশ নিয়েছে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি-সহ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা।
বৈঠকের শুরুতেই সূচনা বক্তব্য দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি জানান, ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দল ও কমিশনের মধ্যে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। তবে আরও ৭টি বিষয়ে এখনো আলোচনা বাকি রয়েছে এবং সেই আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
আজকের আলোচনার মূল প্রতিপাদ্য ছিল রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, নাগরিক অধিকার সম্প্রসারণ এবং একটি নিরপেক্ষ পুলিশ কমিশন গঠনের প্রস্তাব। আলোচকরা এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মতামত প্রদান করেন এবং একটি গ্রহণযোগ্য কাঠামো গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
আলোচনার পরিবেশ ছিল প্রাণবন্ত এবং সহযোগিতাপূর্ণ বলে জানান বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা। সভার প্রাথমিক পর্যায়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তি তৈরি হওয়াকে অনেকেই গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, সোমবার জাতীয় সনদের একটি খসড়া সকল রাজনৈতিক দলের কাছে বিতরণ করা হবে। এই খসড়া নিয়ে আগামী বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হবে এবং প্রত্যেক দলের মতামত অনুযায়ী চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে।
জাতীয় সনদে সকল দলের স্বাক্ষরের বিষয়ে আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটাই—একটি সর্বজনগ্রাহ্য জাতীয় সনদ। এর মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থার ভিত্তি রচিত হবে।’
বৈঠক শেষে অধ্যাপক আলী রীয়াজ প্রথমে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন বলে জানানো হয়েছে। এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি পর্যায়েও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরার কথা রয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার এই প্রক্রিয়া আগামী দিনে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য একটি ঐতিহাসিক ধাপ হতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত। এখন সকলের দৃষ্টি আগামী দিনের খসড়া বিতরণ ও আলোচনার দিকেই।