প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ২১:১১
দেশজুড়ে অনলাইন জুয়ার বিস্তৃতি ও এর সাথে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারের উদ্বেগজনক প্রবণতার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন করে কড়া বার্তা দিয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যদি তাদের কোনো মার্চেন্ট বা এজেন্ট অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এছাড়া এমন কর্মকাণ্ড শনাক্ত হওয়া মাত্রই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট থেকে বুধবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি সরকার ঘোষিত ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুযায়ী অনলাইন জুয়াকে একটি শাস্তিযোগ্য সাইবার অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই আইন অনুসারে এখন থেকে এ ধরনের অনলাইন কার্যক্রমে জড়িত থাকা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আইনের আওতায় আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভাষ্য অনুযায়ী, অনলাইন জুয়ার লেনদেনের বড় একটি অংশ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হয়। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানকে আরও বেশি দায়িত্বশীল ও সতর্ক হতে হবে। শুধু নির্দেশনা জারি নয়, তাদেরকে সরাসরি গ্রাহক ও মার্চেন্ট পর্যায়ে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, অনলাইন জুয়া সমাজে অবক্ষয় তৈরি করছে এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ কারণে এসব বিষয়ে গ্রাহকদের সচেতন করতে প্রচার কার্যক্রম চালানোর তাগিদও দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া যারা মার্চেন্ট বা এজেন্ট হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে, তারা নির্দিষ্ট লাইসেন্সধারী এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে কিনা, তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, প্রযুক্তি ব্যবহার করে লেনদেন পর্যবেক্ষণ ও সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড শনাক্ত করা এখন অপরিহার্য। একইসঙ্গে গ্রাহকদের সম্পর্কে তথ্য হালনাগাদ রাখা এবং নতুন করে কোনো ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে কিনা তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এই নির্দেশনার ফলে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও বেশি দায়িত্ব নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া গ্রাহকরাও আরও সচেতন হবেন বলে আশা করা যায়।