মেয়াদ শেষ হলেও মৌলভীবাজার জেলায় বছরের পর বছর ঝুলে রয়েছে জেলার রাজনগর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, জুড়ী তৈমুছ আলী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বর্মাছড়া টি গার্টেন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কমলগঞ্জের আবুল ফজল চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় এবং গোবিন্দশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অক্যাডেমিক ভবণ নির্মাণের কাজ। এর মধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠানে কাজের মেয়াদোত্তীর্ণের ৫বছর এবং ১টি প্রতিষ্ঠানে দেড় বছর হলেও এখনও শেষ হয়নি সম্পূর্ণ কাজ। ফলে শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তুষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজিমন ঘুরে দেখা যায়, জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার মেয়েদের একমাত্র সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক ভবণ নির্মাণ কাজ এখনও ঝুলে রয়েছে। মাঠে যত্রতত্র নির্মাণসামগ্রী পড়ে রয়েছে। ২০১৯ সালে শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয় তলাবিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই বছরের মধে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২ বছরের কাজ ৫ বছরেও শেষ হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ও গাফিলতির কারণে অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ যথাসময় শেষ না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে।
মৌলভীবাজার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৯০ হাজার ৭০০ টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণকাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় মেসার্স গোলাম সারওয়ার-হেলাল আহমদ নামের যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর কার্যাদেশ দেওয়া হলে ২৪ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাঁচ বছরেও ভবনের লিফট, রঙ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হয়নি। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে প্রায় ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা পরিশোধও করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, শ্রেণিকক্ষ সংকটে তাদের গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হয় এবং দীর্ঘদিন ধরে খেলার মাঠে নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখায় খেলাধুলাও বন্ধ।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, যত্রতত্র নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখায় খেলার মাঠ দখল হয়ে পড়েছে। এছাড়া পুরোনো একাডেমিক ভবনের কয়েকটি কক্ষে দীর্ঘদিন যাবত নির্মাণ শ্রমিকরা বসবাস করছেন। শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রমে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। নির্মাণ শ্রমিকরা দিন-রাত স্কুল ক্যাম্পাসে যাতায়াত করায় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন বলেন, শ্রেণিকক্ষ সংকটের কথা বলে একাধিকবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত ভবন নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য অনুরোধ করেও কোনো কাজ হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমরা মৌলভীবাজার জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করেছি। তারপরও দীর্ঘ পাঁচ বছরেও ভবনটির কাজ শেষ করে আমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হেলাল আহমদ বলেন, ভবন নির্মাণকাজে আমাদের নানা জটিলতার মুখে পড়তে হয়েছে। পুরোনো টিনশেড ভবন ভাঙতে দেরি, পাইলিং জটিলতা এবং ৪৭ লাখ টাকা কর্তনসহ নানা কারণে প্রকল্পে দেরি হয়েছে। ভবনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি আগামী জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দেওয়ার।
জুড়ী উপজেলায় মেয়াদ শেষ হওয়ার ৫বছরেও শেষ হয়নি তৈমুছ আলী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবণ নির্মাণের কাজ। ২০১৮ সালের উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ১৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈমুছ আলী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উদাসীনতা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে ২০২০ সালের জুনে কাজ শেষ হবার কথা থাকলেও এখনও ঝুলে রয়েছে ভবণ নির্মাণ কাজ। এতে পিছিয়ে পড়ছে কারিগরি শিক্ষা প্রসার। জনমনে সৃষ্টি হয়েছে অসন্তোষ আর ক্ষোভ।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কারিগরি শিক্ষার প্রসার ও কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরেটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবণ নির্মাণ প্রকল্প পাশ হয়। ১৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণ কাজ পায় ‘এম এন এন্টারপ্রাইজ’ ও ‘ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামের ঢাকার দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। উদ্বোধনের পর কাজের ধীর গতি, কাজ বন্ধ থাকা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লাপাত্তা হয়ে যাওয়া, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকের মৃত্যুসহ নানা জটিলতায় এখনও ঝুলে রয়েছে। সম্পূর্ণ কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার আগেই ইতোমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৬ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকার বিল তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। মাত্র কয়েকটি কক্ষ প্রস্তুত করে এখন কোনোমতে এখন শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এতে করে সরকারের কারিগরি শিক্ষার প্রসারের উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের বৃন্দাবনপুর আবুল ফজল চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনের কাজ ৭বছরেও শেষ হয়নি। ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে চারতলা বিশিষ্ট ভবণ নির্মাণের জন্য ২ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৫১ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়। কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ মাস সময় বেঁধে দিলেও নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৫ বছর অতিবাহিত হলেও আংশিক কাজ হলে পুরো কাজ এখনও অসম্পুর্ণ। ফলে পুরোনো ভবনেই জরাজীর্ণভাবে চলছে পাঠদান। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সব সময় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মেয়াদ শেষ হওয়ার ৫ বছরেও শেষ হয়নি রাজনগর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবণ নির্মাণের পুরো কাজ। ফলে শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তুষ দেখা দিয়েছে।
শ্রীমঙ্গলের চা বাগান এলাকায় ভারত সীমান্তে বর্মাছড়া সরকারি টি গার্টেন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়তলা ভবণের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৫ বছরেও শতভাগ কাজ শেষ হয়নি। সরেজমি ঘুরে দেখা যায়, ছয়তলা ভবণ সম্পন্ন হলেও এখন বাকি রয়েছে রং, দরজা, লিফটসহ কিছু কাজ। জানা যায়, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে ২০১৮ সালে একনেকে অনুমোদন পায় নয়টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প।
৪৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রল্পটির অধীনে শ্রীমঙ্গলে বর্মাছড়া সরকারি টি গার্টেন উচ্চ বিদ্যালয়টি স্থান পায়। এই বিদ্যালয়ে থাকবে আধুনিক ভৌত অবকাঠামো সুবিধা ও যুগোপযোগী শিক্ষা সামগ্রী পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রেণিকক্ষের পাশাপাশি আইসিটি ল্যাব, বিজ্ঞানাগার, লাইব্রেরি, মাল্টিপারপাস হল রুম, প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, সহকারী প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, অফিস কক্ষ, শিক্ষক কমনরুম, নামাজের কক্ষ, দর্শনার্থী কক্ষ, বিএনসিসি, গার্লস গাইড কক্ষ, প্রাথমিক চিকিৎসা কক্ষ, মিড ডে মিল কক্ষ ও সেমিনার কক্ষ থাকবে বিদ্যালয়গুলোতে। এছাড়া ইন্টানেট সুবিধাসহ ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও কম্পিউটার সামগ্রী, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, বই-পুস্তক, খেলাধুলার সরঞ্জাম, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র সুবিধার কথাও রয়েছে।
তবে বর্মাছড়া চা বাগানের সীমান্তবর্তী এলাকায় এতো টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয স্থাপন নিয়ে কথা ওঠেছে। সাবেক কৃষিমন্ত্রী কাদেও খুশি করার জন্য এই সীমান্তে নির্ধরণ করলেন। তাহলে কি ওপারের বাসিন্দাদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
এদিকে মৌলভীবাজার শহরের গোবিন্দশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজের ধীরগতিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ছয় মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও দেড় বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ। বিদ্যালয়টির শতবর্ষী পুরাতন ভবন ভেঙে নতুন একতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে কাজ পায় জুবায়ের কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ছয় মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজে গাফিলতির কারণে এখনও কাঙ্খিত অগ্রগতি দেখা যায়নি। ভবন নির্মাণ শেষ না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যবহার করা হচ্ছে বিদ্যালয় থেকে কিছুদূরে ভাড়া নেওয়া একটি তিনতলা অস্থায়ী ভবন। সরেজমিনে দেখা গেছে, ছাদ ছাড়া অনেক কক্ষেনেই দেয়াল, বৃষ্টির দিনে ভিজেই ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের। ফলে অনেক অভিভাবকই সন্তনদের স্কুলে পাঠাতে অনাগ্রহী হয়ে পড়েছেন।
অভিভাবকরা বলেন,অস্থায়ী ভবনের তৃতীয় তলায় শিশুদের ওঠানামা করানো খুব কষ্টদায়ক। বৃষ্টির দিনে বই-খাতা ভিজে যায়। আমরা চাই স্কুলের নির্মাণকাজ দ্রæত শেষ করে শিশুদের নিরাপদ পরিবেশে পাঠদান নিশ্চিত করা হোক। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জুবায়ের কনস্ট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারী জুবায়ের আহমদ বলেন, আর্থিক সমস্যা এবং বিভিন্ন অসুবিধার কারণে কাজ চলমান রাখতে সমস্যা হয়েছে। তবে এখন টানা কাজ চলছে। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যে পুরো কাজ শেষ হয়ে যাবে। মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন বলেন, কিছু ডিজাইন সংশোধনের কারণে এক সময় কাজ বন্ধ ছিল। এছাড়া রমজানে শ্রমিক সংকট ছিল। আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবে।
৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবণ নির্মাণের অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রতীশ চন্দ্র সেন দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ধীরগতির কারণেই শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবণের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হয়নি। তবে এখন কাজ শেষের পথে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কথা হয়েছে তারা আগামী মাসের মধ্যে ভবনের কাজ শেষ করে আমাদের বুঝিয়ে দেবেন। জুড়ীর তৈমুছ আলী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিষয়ে তিনি বলেন, ঠিকাদারের মৃত্যুর কারণে কাজটা আমরা বাতিল করেছি। বাতিল করার পর বাকি কাজের এস্টিমেট আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি, এস্টিমেট পাশ হয়ে এসেছে, এখন আমরা টেন্ডারে যাবো। কাজের মেয়াদ ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
রাজনগর সরকারি টেকনিক্যালের কাজের অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো পুরো কাজ শেষ হয়নি। কাজ কিছু দিন বন্ধ ছিল, আমি আসার পর আবার শুরু করেছি। এটার কাজ নিয়ে গতকাল রবিবার ডিসি অফিসে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি জুলাই-আগস্টের ভেতরে কাজ শেষ হয়ে যাবে। তবে বাউন্টারি ওয়ালের সীমানা প্রাচীর নিয়ে স্থানীয়দের সাথে কিছুটা জটিলতায় থাকায় এটা করতে হয়তো সময় লেগে যাবে।
বর্মাছড়া টি গার্টেন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কাজও শেষের পথে, আগামীকাল প্রকল্প অফিস থেকে সরেজমিন একটি টিম আসবে, তারা শ্রেণিকক্ষের আসবাবপত্র, ডেকোরেশনসহ যা লাগে সব প্রকল্প অফিস থেকে দেবে। ফার্ণিচার চলে আসছে, কম্পিউটার গতকাল আসার কথা, তবে টিম আসার পর তারা সব সেটআপ করে দিযে যাবে। এখন শুধু লিফটের কাজ চলছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হবে জানিয়েছেন মৌলভীবাজার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রতীশ চন্দ্র সেন।