বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে বর্তমানে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ রেল রুটসমূহে যাত্রীদের পরিবহনের জন্য বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঢাকা রেলস্টেশন ও বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, কুমিল্লা, বগুড়া ও ময়মনসিংহগামী যাত্রীরা তাদের রেল টিকিট ব্যবহার করে বিআরটিসির বাসে ভ্রমণ করতে পারবেন। একইসঙ্গে এসব স্থানের যাত্রীরা এই বাস সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় ফিরতেও পারবেন।
বিআরটিসির এই বাস সার্ভিস পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। রেলের বিকল্প হিসাবে এই বাস সার্ভিস যাত্রীদের যাতায়াতে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে ব্যস্ত টিকিট কাউন্টারগুলো এখন নিরব। আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কাউন্টারগুলোও বন্ধ রয়েছে।
রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন গত ২২ জানুয়ারি চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে তাদের দাবি মানার আল্টিমেটাম দিয়েছিল। দাবি মানা না হওয়ায় তারা আজ থেকে কর্মবিরতি পালন শুরু করেছে, যার ফলে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শণ করবেন বলে জানা গেছে। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন এবং অনেকেই বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থার জন্য হন্যে হয়ে ছুটছেন।
রেলওয়ের এমন পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতি ও জনজীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি হয়েছে, যা বাণিজ্যিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। অন্যদিকে, সাধারণ যাত্রীরা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
রেল যোগাযোগের ওপর নির্ভরশীল হাজারো মানুষ এখন নিরূপায়। জরুরি যাত্রী পরিবহন নিশ্চিত করতে বিআরটিসি বাস চালু হলেও তা চাহিদার তুলনায় খুবই সীমিত। যাত্রীরা দ্রুত সমস্যার সমাধান চান এবং রেলের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় চালুর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষও এ সমস্যার সমাধানে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা করছে। শ্রমিক সংগঠনের দাবি এবং কর্তৃপক্ষের অবস্থানের মধ্যে সমঝোতা আসলে দ্রুত রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।