শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
logo
ENকনভার্টার
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
    • বিশ্বকাপ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
    • আইন-আদালত
    • সাহিত্য
    • প্রবাস জীবন
    • কৃষি
    • বাংলাদেশে করোনা
    • গনমাধ্যম
    • আবহাওয়া
    • জাতীয় সংসদ নির্বাচন
    • ভাইরাল টপিক
    • অর্থনীতি
    • ব্যবসা ও বাণিজ্য
    • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
    • অপরাধ
    • স্বাস্থ্য
    • ধর্ম
    • বন্যা পরিস্থিতি
    • জনদুর্ভোগ
    • প্রতিবেশী
    • পর্যটন
    • মজার খবর
    • শিক্ষা
    • শেয়ার বাজার
    • চাকুরী
    • লাইফস্টাইল
অনুসন্ধান
logo
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
  • অনুসন্ধান করুন
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা
Logo

সম্পাদক : মোঃ শওকত হায়দার (জিকো)

প্রকাশক : ইনিউজ৭১ মিডিয়া লিমিটেড

হাউজ: নাম্বার ৫৫ , দ্বিতীয় তলা, রোড নাম্বার ৬/এ , সেক্টর - ১২ উত্তরা, ঢাকা - ১২৩০ ।

ফোন: +880 258 053 897, ইমেইল: [email protected] , [email protected]

গোপনীয়তার নীতি

ব্যবহারের শর্তাবলি

যোগাযোগ

আমাদের সম্পর্কে

আমরা

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

স্বত্ব © ইনিউজ৭১.কম

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ1TK8B83CTTQWN3SJNRKSQ9.gif
সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ কি শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে পারে?

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২২, ১:২৩

শেয়ার করুনঃ
বাংলাদেশ কি শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে পারে?
শ্রীলঙ্কা
https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg

বিশ্বে কোনো দেশ অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া (ঋণ খেলাপি) হয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। ইতিহাসে চীন, তুরস্ক, জাপান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ দেউলিয়া হওয়ার নজির রয়েছে। আঠারো থেকে উনিশ শতকের মধ্যে স্পেনও প্রায় ১৫ বার ঋণ খেলাপি হয়েছিল। একবিংশ শতাব্দীতে আর্জেন্টিনা (২০১২), গ্রিস (২০১৫), লেবানন, (২০২০) এবং সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা (২০২২) নিজেদের ঋণ খেলাপি (দেউলিয়া) ঘোষণা করেছে।

সাধারণত একটি দেশ ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে অসমর্থ হলে তাকে রাষ্ট্রীয় দেউলিয়াত্ব বলে। দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষার হারের শীর্ষ দেশ এবং এক সময়কার মাথাপিছু আয়ের শীর্ষ দেশ শ্রীলঙ্কার দেউলিয়া হয়ে যাওয়াকে বিশ্বের সকল দেশকে যেমন অবাক করেছে, তেমনি এই বার্তা দিয়েছে যে সঠিক অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণ এবং রাজনৈতিক শৃঙ্খলা না থাকলে অনেক উন্নত এবং দ্রুত প্রবৃদ্ধির দেশও দেউলিয়া বা চরম অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে পড়ে যেতে পারে।

আরও

জঙ্গি নাটক: মিথ্যার আড়ালে ক্ষমতার লোভে চালানো অন্যায়

জঙ্গি নাটক: মিথ্যার আড়ালে ক্ষমতার লোভে চালানো অন্যায়

শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টেনে অনেকেই বলার চেষ্টা করছেন যে, বাংলাদেশও এমন দুরবস্থার মুখোমুখি হতে পারে। যাই হোক, এই লেখায় কিছু দুর্বোধ্য অর্থনৈতিক চলক এবং নির্মোহ বিশ্লষণের মধ্য দিয়ে বুঝার চেষ্টা করা হয়েছে দেউলিয়াত্বের প্রশ্নে বাংলাদেশের বাস্তবিক অবস্থান আসলে কোথায়।

একটি দেশের জিডিপির তুলনায় ঋণের অনুপাত এবং সময়ের সাথে সাথে তার বৃদ্ধির হার বিবেচনায় দেশটি দেউলিয়া হওয়ার কতটুকু ঝুঁকির মধ্যে আছে তা নির্ধারণ করা যায়। বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে, শ্রীলঙ্কার বর্তমান ঋণ- জিডিপি অনুপাত হলো ১১৯ শতাংশ যা ২০১১ সালে ছিল ৭০ শতাংশ। একই হিসেব মতে বাংলাদেশের বর্তমান ঋণ-জিডিপির অনুপাত হলো ৪০ শতাংশ যা ২০১১ সালে ছিল ৩৬.৬ শতাংশ।

আরও

ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল: ক্ষমতাবানদের বিলাসী জীবন বিপর্যস্ত

ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল: ক্ষমতাবানদের বিলাসী জীবন বিপর্যস্ত

এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের মোট ঋণের মাত্র ৩৭ শতাংশ এসেছে বিদেশি উৎস থেকে, যা জিডিপির মাত্র ১৩ শতাংশ। যেখানে আইএমএফে এর মতে জিডিপির ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণকে সহনীয় বিবেচনা করা হয়।

অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের ঋণের সুদের হারেও রয়েছে বিশাল তারতম্য। শ্রীলঙ্কা যে ঋণটা বিদেশ থেকে নিয়েছে তার সুদের হার যেখানে গড়ে ৭.৫ শতাংশ সেখানে বাংলাদেশের মাত্র ১.৪ শতাংশ। আবার মাথাপিছু ঋণের বিবেচনায়, শ্রীলঙ্কার মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ যেখানে ১৬৫০ মার্কিন ডলার সেখানে বাংলাদেশের মাত্র ২৯২ মার্কিন ডলার। ঋণ সংশ্লিষ্ট এসব পরিসংখ্যান থেকে বুঝাই যায় শ্রীলঙ্কার তুলনায় বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান বেশ দৃঢ় ও স্থিতিশীল এবং ঋণ পরিশোধের দায়ের দিক থেকে বাংলাদেশ বিপজ্জনক অবস্থানে নেই।

এবার আসা যাক শ্রীলঙ্কার দেউলিয়াত্বের পেছনে মূল কারণগুলো কী ছিল এবং বাংলাদেশের অদূর ভবিষ্যতে অনুরূপ পরিস্থিততে পড়ার আশঙ্কাই বা কতটুকু। শ্রীলঙ্কার ক্রমবর্ধমান হারে ঋণ জিডিপির হার বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বেশ কিছু ব্যয়বহুল ও উচ্চভিলাষী মেগা প্রজেক্ট যার অর্থনৈতিক উপযোগিতা ছিল বেশ সীমিত এবং যার বেশির ভাগই ছিল অপ্রয়োজনীয়। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহনের ক্ষেত্রে ছিল উদাসীনতা। যেমন ২০১৪ সাল থেকে দেশটি কোনো নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্যোগ নেয়নি যদিও প্রতিবছর দেশটিতে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশ হারে। অন্যদিকে, ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে যেখানে আয় বৃদ্ধির প্রতি জোর দেয়ার কথা, সেখানে ২০১৯ সালে দেশটি ভ্যাট ও ট্যাক্স কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এর হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮ শতাংশ ধার্য করে। যেহেতু বাংলাদেশেও বর্তমানে বেশ কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, অনেকেই বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ঋণের চাপ বাড়ার আসঙ্কা করছেন।

আসলে উন্নয়ন প্রকল্পে সরকারি ব্যয়ের সফলতা নির্ভর করে এই ব্যয় প্রকৃতপক্ষে বেসরকারি বিনিয়োগকে কতটা সম্প্রসারিত বা সংকোচিত করে তার উপর। যদি সরকারি ব্যয় ভোগ এবং অনুৎপাদন কাজে চলে যায় সেক্ষেত্রে অর্থনীতি সংকোচিত হয় (যা শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে হয়েছে)। আবার সরকারি ব্যয় যদি

অর্থনীতির সাধারণ পরিবেশ উন্নয়ন এবং লাভজনক বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে সেক্ষেত্রে তা অর্থনীতি সম্প্রসারণ করে।

এক্ষেত্রে দেখতে হবে শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশের মেগা প্রেজেক্টগুলো অন-উৎপাদনশীল কাজে নিয়োগ হচ্ছে কিনা? দেশের অন্যতম বড় প্রকল্পের একটি হলো পদ্মা সেতু, যা সারা দেশের সাথে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জেলার সাথে সংযোগ স্থাপন করবে। ২০১০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হানের গবেষণার হিসেব মতে, পদ্মা সেতু প্রতিবছর অর্থনীতিতে ২.১ বিলিয়ন টাকা প্রবাহ বাড়াবে যা মোট জিডিপির প্রায় ০.৩৩ শতাংশ। অর্থ্যাৎ পদ্মা সেতু দুই বছরের মধ্যে খরচের চেয়ে বেশি অবদান রাখা শুরু করবে।

দেশের মেগা প্রজেক্টের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, যথা- ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র উল্লখযোগ্য। সরকারী হিসাব

https://enews71.com/storage/ads/01JQ184AJV9F0T856X9BBSG85X.gif

মতে চলমান নির্মানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে উৎপাদন খরচ প্রতি ইউনিট ৮ টাকা (বর্তমান) থেকে কমে ৪-৫ টাকায় নেমে আসবে। হ্রাস পাবে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি, ফলে সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা। কমবে বিদ্যুৎ তৈরীতে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার, ফলে কমবে গ্যাসের উপর চাপ।

অনুরূপ ভাবে, বাংলাদেশের চলমান প্রত্যেকটি মেগা প্রজেক্টের পিছনে রয়েছে অপার অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও যৌক্তিক কারণ। যেমন, বিশ্বব্যাংকের হিসেব মতে ঢাকার যানজট প্রতিদিন ৩.২ মিলিয়ন কর্মঘন্টা নষ্ট করে। মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কমবে যানজট, বাড়বে কর্মঘন্টা। রামু রেল সংযোগ মায়ানমার ও পূর্ব এশিয়ার দেশ সমূহের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারিত করবে। পায়রা ও মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দর চাপ ও নির্ভরশীলতা কমাবে চট্টগ্রাম বন্দরের উপর। যার ফলে পণ্য খালাসে কমবে সময়, বেগবান হবে আমদানি ও রপ্তানি।

অর্থনীতিবিদদের মতে পরিকল্পিত ঋণ আসলে খারাপ কিছু নয়। উন্নত দেশ জাপানের ঋণ জিডিপর অনুপাত ২৫৬ শতাংশ, ভারতের ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। কিন্তু দেখার বিষয় হলো একটি দেশ ঋণ করলে তা পরিশোধ করার সক্ষমতা রাখে কিনা অথবা দেশীয় অর্থনীতিতে সে সক্ষমতা তৈরি হচ্ছে কিনা। বাংলাদেশে মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নে ঋণের টাকা পরিশোধ করা শুরু হবে আরো প্রায় ৫ বছর পর থেকে।এর মধ্যে চলমান বেশিরভাগ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে এবং অর্থনীতিতে অবদান রাখা শুরু করবে। ফলে বর্তমানে ধার করা অর্থ পরিশোধ করতে বাংলাদেশের সক্ষমতার জায়গা তৈরি হবে।

শ্রীলঙ্কার দেওলিয়াত্বের আরেকটি অন্যতম কারণ হল বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ (ফরেন রিজার্ভ) কমে যাওয়া।

বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ কমে যাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হল রপ্তানি আয় কমে যাওয়া এবং পক্ষান্তরে আমদানি ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়া। করোনার কারণে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম উৎস পর্যটন রপ্তানি ও রেমিট্যান্স মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার বেশকিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য অমদানি নির্ভর হওয়ায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পায়। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২ বিলিয়নের কাছাকাছি চলে আসে যা ২০১৯ সালের জুনে ছিল ৮.৮ বিলিয়ন ডলার ।

বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির দিক হল বাংলাদেশর ব্যালেন্স অফ পেমেন্টে ভারসাম্যতা। বাংলাদেশের গত কয়েকবছর ধরেই বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ৪০ বিলিয়ন ডলারের উপরে রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে ফরেন রিজার্ভের উপর আহামরি চাপ আসার খুব একটা সম্ভাবনাও নাই। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। পাশাপাশি হোম টেক্সটাইল, কৃষি প্রকৃয়াজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে সহ অন্যান্য রপ্তানিমুখী পণ্যের রপ্তানিও বাড়ছে। চলতি অর্থবছরে ২ মাস বাকি থাকতেই ইতোমধ্যে রপ্তানির লক্ষমাত্র অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে। রপ্তানি বৃদ্ধিকে সরকারে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ সকল উন্নয়ন প্রকল্পে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে রপ্তানি খাতে সংকটের তেমন কোনো আশঙ্কাই নাই বরং রয়েছে উর্দ্ধমুখী প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার প্রাবহও অটুট থাকবে। তদুপরি বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতে সরকার রেমিট্যান্স পাঠানোর বৈধ পথের প্রণোদনা ০.৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করেছে যাতে রেমিট্যান্স এর মাধ্যমে বৈদেশীক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।

অন্যদিকে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায়, রিজার্ভের উপর চাপ কমানোর বিশেষ প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ চাইলেই আমদানি ব্যয় সংকোচিত করতে পারবে। বিলাসবহুল পন্য আমদানি কমালেও তা জনমনে তেমন বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে না। সুতরাং ফরেন রিজার্ভের দিক থেকেও বাংলাদেশ অনেকটাই নিরাপদ আছে এবং অদূর ভবিষ্যতে সংকটে পড়ার কোনো আশঙ্কাই নাই।

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে মনে করা হচ্ছে শ্রীলঙ্কার দুরবস্থার আরেকটি অন্যতম কারণ। দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিক থেকে বাংলাদেশ আফগানিস্তান, পাকিস্তান, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা এবং অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সূচকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে গিয়েছে। বর্তমান সরকার বৈশ্বিক মহামারিতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় সফলতা দেখিয়েছে। বাংলাদেশ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মহামারিতে কম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দেশগুলোর মধ্যে একটি। তাছাড়া করোনা পরবর্তী অর্থনৈতি পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সফলতা দেখিয়েছে। বিবিএসের হিসেব মতে , বাংলাদেশ বৈশ্বিক মহামন্দাকে কাটিয়ে উঠে ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৭.২৫ শতাংশ। বাংলাদেশের উন্নয়ন পথ সুগম করা এবং মহামন্দা নিয়ন্ত্রণ করে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে এগিয়ে যাওয়ায় এ দেশের নেতৃত্ব থাকা নীতিনির্ধারকগণদের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানগণ ভূয়সী প্রশংসা করেছে এবং স্বীকার করছে যে, সঠিক নেতৃত্বের গুণে বাংলাদেশ অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে ভাল করছে।

পরিশেষে, শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টেনে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুল ব্যাখ্যা করে যারা বাংলাদেশের পতন আসন্ন বলে আহাজারি করছেন এবং জনমনে বিভ্রান্তি তৈরী চেষ্টা করছেন, তাদের উদ্দেশ্য আসলে অন্য। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত অনেক মজবুত এবং পরিকল্পিত পথচলার মাধ্যমে তা দিন দিন আরো মজবুত হচ্ছে।

লেখক: আব্দুল্লাহ আল মাসুদ লিমন। শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

জনপ্রিয় সংবাদ

আমার নাম কেউ ব্যবহার করলে তাকে আটক করুন - ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত

আমার নাম কেউ ব্যবহার করলে তাকে আটক করুন - ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত

প্রথমবারের মতো হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হলো রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন- প্রধান বিচারপতি

প্রথমবারের মতো হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হলো রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন- প্রধান বিচারপতি

নওগাঁয় কৃষকদের পাশে বিএনপি নেতা পলাশ, হিট স্ট্রোক এড়াতে খাদ্য সহায়তা বিতরণ

নওগাঁয় কৃষকদের পাশে বিএনপি নেতা পলাশ, হিট স্ট্রোক এড়াতে খাদ্য সহায়তা বিতরণ

দেবীদ্বারে খুনির বাড়ি ভাঙচুর, সেনা সদস্যের বাড়িও আক্রান্ত

দেবীদ্বারে খুনির বাড়ি ভাঙচুর, সেনা সদস্যের বাড়িও আক্রান্ত

ছাত্র আন্দোলনে হামলা: রাজবাড়ীতে আ.লীগ-যুবলীগ নেতার জামিন নামঞ্জুর

ছাত্র আন্দোলনে হামলা: রাজবাড়ীতে আ.লীগ-যুবলীগ নেতার জামিন নামঞ্জুর

সর্বশেষ সংবাদ

স্ত্রীর সাথে দ্বন্দ্বে গলায় ফাঁস দিয়ে স্বামীর আত্মহত্যা !

স্ত্রীর সাথে দ্বন্দ্বে গলায় ফাঁস দিয়ে স্বামীর আত্মহত্যা !

মহিপুরে খালে মাছ ধরতে গিয়ে প্রাণ হারালেন মং

মহিপুরে খালে মাছ ধরতে গিয়ে প্রাণ হারালেন মং

বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্তে ফের ৩০জনকে পুশইন বিএসএফ'র

বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্তে ফের ৩০জনকে পুশইন বিএসএফ'র

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে দুদকের সামনে ভেসে উঠল অনিয়মচিত্র

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে দুদকের সামনে ভেসে উঠল অনিয়মচিত্র

ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনী নিয়ে নওগাঁয় চলছে বিজ্ঞান মেলা

ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনী নিয়ে নওগাঁয় চলছে বিজ্ঞান মেলা

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

ড.মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের পুনর্জাগরণ

ড.মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের পুনর্জাগরণ

বাংলাদেশের মানুষ আজ নতুন করে উপলব্ধি করছে—একজন জ্ঞানী, সম্মানিত ও বিশ্বস্বীকৃত রাষ্ট্রনায়কের নেতৃত্ব কেমন হয়, আর রাজনীতিকদের ক্ষমতালিপ্সু নেতৃত্বের মধ্যে পার্থক্য কতটা গভীর। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ, শান্তিকামী নেতার মতোই রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবেও ড. মুহাম্মদ ইউনুস সামনে এনেছেন একেবারে নতুন এক বাংলাদেশ—যেখানে রাষ্ট্রচিন্তা কৌশলে ভরা, কূটনীতি সুদূরপ্রসারী এবং রাষ্ট্রের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় নিরলস চেষ্টা দৃশ্যমান। সম্প্রতি ইউরোপ-আমেরিকার রাষ্ট্রপ্রধানদের হাতে ‘জুলাই বিপ্লব’ নিয়ে প্রকাশিত দুর্লভ ছবির

“এই মুহূর্তটি একদিনে গড়ে ওঠেনি—এর পেছনে লুকিয়ে আছে দীর্ঘ সময়ের হিসেব-নিকেশ।”

“এই মুহূর্তটি একদিনে গড়ে ওঠেনি—এর পেছনে লুকিয়ে আছে দীর্ঘ সময়ের হিসেব-নিকেশ।”

এর পেছনে রয়েছে বহুদিনের ষড়যন্ত্র, বহু রাতের আঁধারে চলা গোপন আঁতাত। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরই শুরু সেই অধ্যায়—অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক, নানা রকম ছক আঁকা, সংবিধান মেনে শপথ নেওয়া একটি  সরকারকে উৎখাতের নীলনকশা। প্রথমে ইউনূসকে জঙ্গি, মৌলবাদী আখ্যা দেওয়া হলো। তারপর গরু ছাগলের মতো ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হিন্দু নির্যাতনের মিথ্যা গল্প সাজানো হলো। কোটি কোটি ডলার খরচ করে

"ঈদের খুশিতে রেমিট্যান্সের ছোঁয়া: প্রবাসীদের অবদান ও অর্থনীতির প্রভাব"

"ঈদের খুশিতে রেমিট্যান্সের ছোঁয়া: প্রবাসীদের অবদান ও অর্থনীতির প্রভাব"

ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই বন্ধন ,ঈদ মানে  উৎসব ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুখস্মৃতি। আর এই আনন্দের অন্তরালে রয়েছে লাখো প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরলস পরিশ্রম ও ত্যাগ। দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বিশেষ করে ঈদের আগে বাজারে প্রাণসঞ্চার করেছে। পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর পাশাপাশি অর্থনীতি চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে দেশের

রাজনীতির নীতি: ভুলের খেসারত দেশকে কী দেয়?

রাজনীতির নীতি: ভুলের খেসারত দেশকে কী দেয়?

রাজনীতি, রাজার নীতি। এটি একটি গভীর অর্থপূর্ণ উক্তি যা আমাদের দেশের রাজনৈতিক পরিবেশের বাস্তবতা তুলে ধরে। রাজনীতির জগতে কোনো একটি ভুল সিদ্ধান্ত বা আচরণ কেবল ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, এটি দেশের জনগণের ভবিষ্যতকেও বিপদে ফেলে দিতে পারে। একটি অল্প সময়ের ভুল কিংবা অসাবধানতা সমস্ত সিস্টেমকে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে। ২০২৪ এর  ২৪ আগস্ট মাসে ঘটেছে তেমনই একটি ঘটনা যা রাজনীতি এবং

৯০ এর গণআন্দোলনের পর বাংলাদেশে ড. ইউনুসের মতো নেতার প্রয়োজন ছিল।

৯০ এর গণআন্দোলনের পর বাংলাদেশে ড. ইউনুসের মতো নেতার প্রয়োজন ছিল।

১৯৯০-এ এরশাদের পতন ছিল গণতন্ত্রের বড় বিজয়। সাধারণ জনগণের জন্য ভাবার সময় বহু মতের একটি সার্বজনীন দেশ হওয়ার কথা ছিল। তবে এ দেশের রাষ্ট্রনায়করা দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তারা এসেছিলেন শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য, আর দীর্ঘদিন থাকার জন্য যা করার দরকার তাই করেছেন, যা আসলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার সামিল ছিল । বারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া, স্বজনপ্রীতি করা, দেশের সম্পদ