যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান, মার্কেট এবং শপিং মল খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২৫ এপ্রিল (রোববার) থেকে দোকানপাট ও শপিংমল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। তবে অবশ্যই মানতে হবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি।
গত বছর লকডাউন শেষে সামাজিক দূরত্ব মানার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা যায়নি মার্কেটে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার যে সকল নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল লকডাউন পরবর্তী তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টরাও ছিলেন উদাসীন।
বিশেষ করে বড় বড় শপিংমলগুলোতে কর্তৃপক্ষ সচেতন থাকলেও ছোটখাটো মার্কেটগুলোতে সম্পূর্ণ উল্টোচিত্র দেখা গেছে। এমনও দেখা গেছে দোকানের বাইরে বৃত্ত এঁকে ঘর করা থাকলেও সেটা অনেকেই খেয়াল করছে না।
এবারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত লকডাউন শেষ হওয়ার আগেই মার্কেট ও শপিং মল খুলে দেয়ার অনুমতি দিলেও স্বাস্থ্যবিধি পালনে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আর এটা শতভাগ বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আর নির্দেশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যতটা সচেতন থাকতে হবে তার চেয়ে ঢের বেশি সচেতন থাকা দরকার জনগণের। জনগণ সচেতন হলেই মহামারী করোনা থেকে শতকরা ৮০ ভাগ সংক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। আর সেক্ষেত্রে সকলকে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো তা কতটা মানা সম্ভব।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেই অভ্যাস গড়ে তুলতে হলে প্রশাসনকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।