আগামীকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আসর, যা টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হবে। বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে এই ধর্মীয় আয়োজনের প্রথম পর্ব শুরু হবে। এতে শুরায়ী নেজামের তত্ত্বাবধানে তাবলীগ জামাতের সদস্যরা অংশগ্রহণ করবেন।
ইজতেমা ময়দানে ইতোমধ্যেই মুসল্লিরা আসতে শুরু করেছেন এবং তারা তাদের নির্ধারিত খিত্তা ও পয়েন্টে অবস্থান নিতে শুরু করেছেন। এবারের ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে এবং উলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালিত হবে।
প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। দ্বিতীয় পর্ব ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।
প্রথম পর্বে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের মধ্যে গাজীপুর, টঙ্গী, ধামরাই, গাইবান্ধা, মিরপুর, কাকরাইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মুসল্লিরা রয়েছেন। এই পর্বে ৪১টি জেলা অংশগ্রহণ করছে।
এবারের ইজতেমায় তাবলীগ জামাতের সদস্যরা দ্বীনের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে একত্রিত হচ্ছেন। তাবলিগ জামাতের শুরায়ী নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, তাবলিগের মেহনত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দ্বীনি কার্যক্রম এবং ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা উলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে মেহনত করতে চান।
ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের জন্য ময়দানের ১৬০ একর জায়গায় অবস্থান করা কিছুটা কষ্টকর হলেও, তারা এই আধ্যাত্মিক মেহনতের জন্য প্রস্তুত।
বিশ্ব ইজতেমা মুসলিম বিশ্বে একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে এবং প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মুসল্লি এতে অংশগ্রহণ করে। এই ধর্মীয় সমাবেশ মুসলিম সমাজের ঐক্য ও শান্তির বার্তা প্রচার করে।
এবারের বিশ্ব ইজতেমা যেমন ধর্মীয় তত্ত্বাবধান ও আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তেমনি এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে একতা, সহযোগিতা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি অনন্য উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হওয়া এই আয়োজন মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত এবং বছরের পর বছর এই ইজতেমা মুসল্লিদের জন্য আধ্যাত্মিক উন্নতি এবং প্রশান্তির উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।