মৌলভীবাজারে কাস্টমস-পুলিশের অভিযানে অবৈধ সিগারেট জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক
এহসান বিন মুজাহির জেলা প্রতিনিধি , মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
মৌলভীবাজারে কাস্টমস-পুলিশের অভিযানে অবৈধ সিগারেট জব্দ

মৌলভীবাজারের পশ্চিম বাজার ও কুদরত উল্লাহ রোডে যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বিদেশি ও দেশীয় সিগারেট জব্দ করেছে কাস্টমস ও পুলিশ। বুধবার দুপুরে চালানো এই অভিযানে ৩২ হাজার শলাকা দেশীয় অবৈধ সিগারেটসহ বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেট আটক করা হয়। অভিযানে চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা ফিউচার কিংস, মানসুন, পোলো, ওরিস, মন্ড, এক্সএসও, এলিগ্যান্স ও লুভিন ব্র্যান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়।  


কাস্টমসের মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের রাজস্ব কর্মকর্তা এবিএম রেজাউল হক জানান, জব্দ করা সিগারেটগুলো অবৈধ পথে আনা হয়েছে এবং এর সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা কঠিন। তিনি বলেন, এই সিগারেটগুলো বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  


অভিযানের সময় দোকানগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে আমদানি করা এসব সিগারেট উদ্ধার করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মৌলভীবাজারসহ আশপাশের জেলাগুলোতে চোরাই পথে আনা বিদেশি সিগারেটের অবৈধ বাণিজ্য চলছে, যা দেশের রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।  


অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেট সাধারণত সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে পাচার হয়ে দেশের অভ্যন্তরে আসে। কাস্টমস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একসঙ্গে কাজ করে এসব অনিয়ম বন্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। জব্দ করা সিগারেটের বাজারমূল্য কয়েক লক্ষ টাকা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  


অভিযানের পরপরই ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অভিযানের খবর পেয়ে অনেকে দোকান বন্ধ করে দেন। তবে কাস্টমস জানিয়েছে, এই ধরনের অবৈধ ব্যবসা রোধে নিয়মিত অভিযান চলবে এবং চোরাচালান বন্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  


এদিকে, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ পথে বিদেশি সিগারেট এনে বাজারজাত করে আসছে। অনেক সময় সঠিক কাগজপত্র না থাকার কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে পড়তে হয়। তবে বৈধ ব্যবসায়ীদের যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সে বিষয়েও নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।  


অবৈধভাবে আমদানি করা এসব সিগারেট স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব ক্ষতিও করছে। কাস্টমস ও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আটক করা সিগারেটের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে দ্রুত ধ্বংস করা হবে।  


এই অভিযানের মাধ্যমে মৌলভীবাজারে চোরাচালান বন্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে এবং অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।