নোয়াখালীতে চলমান অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশের সমন্বয়ে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম জানিয়েছেন, আটককৃতদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যা মামলার আসামি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী রয়েছে।
তিনি আরও জানান, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সুধারাম থানা এলাকার তিনজন, হাতিয়ার আটজন, কোম্পানীগঞ্জের একজন এবং চাটখিলের একজন রয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
স্থানীয়রা যৌথ বাহিনীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, সম্প্রতি সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের অভিযান জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনবে বলে মনে করছেন তারা।
অপারেশন ডেভিল হান্টের অধীনে এই ধরনের অভিযান আগামী দিনগুলোতেও চলবে বলে জানা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জেলার প্রতিটি থানা এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।