ঝালকাঠির নলছিটি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল আলমকে রাজাপুর থানায় বদলি করা হয়েছে। মামলার তদন্তে ঘুষ দাবির অভিযোগের পর এই বদলির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়। এর আগে এসআই শহিদুলের বিরুদ্ধে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নলছিটির উত্তর জুরকাঠি গ্রামের মাইনউদ্দিন খান। অভিযোগে বলা হয়, তিনি তদন্ত কাজে ঘুষ চেয়েছিলেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম আকনের দায়ের করা একটি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন এসআই শহিদুল। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ওই নেতার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে মাইনউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে পক্ষপাতিত্বের কারণে মাইনউদ্দিন খান ১০ দিন জেলও খাটেন। এছাড়া ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট মাইনউদ্দিন খানকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে এসআই শহিদুল আলম গিয়াস উদ্দিন খানকে ফোন করে তার ভাই মাইনউদ্দিনকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন বলে অভিযোগ করা হয়। মাইনউদ্দিন খান জানান, এসআই শহিদুল দীর্ঘদিন নলছিটি থানায় থাকার সুবাদে সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করতেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় এমন অভিযোগ উঠলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এসআই শহিদুল আলম স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে সাধারণ মানুষের ওপর মামলা চাপিয়ে দিতেন এবং ঘুষ আদায় করতেন। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
তবে এসআই শহিদুল আলম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি ফরেনসিক রিপোর্ট অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন এবং কাউকে হুমকি দেননি।
নলছিটি থানার ওসি আব্দুস সালাম জানান, এসআই শহিদুল আলমের বদলির আদেশ থানায় পৌঁছেছে। তবে কিছু কাজ শেষ করে তিনি রাজাপুর থানায় যোগদান করবেন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করা হবে এবং দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।