পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও নতুন বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনের কর্মী নুরুজ্জামান কাফির বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। এতে তার পরিবার অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও সম্পূর্ণ ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন কাফি। তিনি সরকারকে সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন এবং দাবি পূরণ না হলে একা রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামে নিজ বসতঘরের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কাফি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমার মা-বাবা, ভাই ও ভাতিজিকে পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা ছিল। আমি তো নতুন বাংলাদেশ গড়তে আন্দোলনের ফ্রন্টলাইনে ছিলাম। অথচ এখন আমার পুরো ঘরটাই নেই। স্পষ্ট বলে দিচ্ছি, সাত দিনের সময়। যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। নইলে সাত দিন পরে একাই রাজপথে দাঁড়াব।”
সংবাদ সম্মেলনে কাফি আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেন, “জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুইবার মায়ের কান্না শুনেছি—একবার যখন ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পালিয়ে ছিলাম, আরেকবার গত রাতে, যখন দুর্বৃত্তরা আমাদের ঘরে আগুন দেয়।”
এ বিষয়ে নুরুজ্জামান কাফির বাবা এবিএম হাবিবুর রহমান বলেন, “রাতের অন্ধকারে দুর্বৃত্তরা আমাদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমরা যে যার মতো দরজা ভেঙে বের হয়ে আসি। কিছুই রক্ষা করতে পারিনি, সব শেষ হয়ে গেছে। আমার ছেলে দেশ গড়ার কাজ করেছেন। এতে প্রতিপক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে।” তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
এই ঘটনার পর নুরুজ্জামান কাফির পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। স্থানীয়রা বলছেন, এই ধরনের নাশকতামূলক ঘটনা সমাজের জন্য ভয়ংকর দৃষ্টান্ত হতে পারে। কাফি ও তার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে এবং জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।