ঘন কুয়াশার কারণে আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। বুধবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় ঘাট কর্তৃপক্ষ। পরে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে কুয়াশা কমলে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।
সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে পুলিশ বক্স পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। অনেক যানবাহন আটকে থাকায় চালক ও যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আলিম দাইয়্যান জানান, কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। কুয়াশা কমে আসার পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। বর্তমানে ছোট-বড় ১৫টি ফেরি এ রুটে চলাচল করছে।
তিনি আরও বলেন, ফেরি বন্ধ থাকায় কিছু যানবাহন ঘাটে আটকা পড়েছে। তবে দ্রুত যানবাহন পারাপারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, অল্প সময়ের মধ্যেই সব যানবাহন নদী পার হতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রাক ও বাসচালকরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থেকে দুর্ভোগের শিকার হন। চালকরা জানান, ঘাট এলাকায় অপেক্ষার সময় কোনো সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না থাকায় ভোগান্তি বেড়ে যায়। অনেক চালক ও যাত্রীকে খাবার ও বিশ্রামের সুবিধা ছাড়াই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে।
ঘন কুয়াশার কারণে এ নৌরুটে ফেরি চলাচলে প্রায়শই বিঘ্ন ঘটে। শীত মৌসুমে কুয়াশার কারণে ফেরি বন্ধের ঘটনা নিয়মিত দেখা যায়। ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে কুয়াশা ঘন হলে ফেরি বন্ধ রাখতেই হয়, তবে আধুনিক নেভিগেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
যাত্রীরা জানান, বারবার ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগ সৃষ্টি হলেও আগে থেকে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় তারা ভোগান্তিতে পড়েন। শীতের সময় ফেরির কার্যক্রম আরও কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের দাবি জানিয়েছেন অনেকে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শীতের মৌসুমে ঘন কুয়াশা হলে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হলেও যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে আরও উন্নত ব্যবস্থার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।