বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে বরিশালের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১১ই আগস্ট ২০২২ ০৭:৪২ অপরাহ্ন
বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে বরিশালের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত

লঘুচাপের প্রভাবে দিনভর বৃষ্টি আর দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর জোয়ারের পানিতে নদী তীরবর্তী এলাকাসহ বরিশালে নিন্মাঞ্চল তলিয়ে গেছে। সেই সাথে নগরীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আরও দুই থেকে তিনদিন মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে বরিশালে আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত বরিশালে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। 


এছাড়া নদী তীরবর্তি এলাকায় নিন্মাঞ্চল ২ থেকে ৪ফুট তলিয়ে যেতে পারে। এদিকে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বিভাগের মধ্যে বরিশাল নগর সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


গত মঙ্গলবার থেকে বরিশালসহ দক্ষিণের জেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। বুধবার ভোর রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে। বরিশালের আকাশ কখনও মেঘলা থাকছে, কখনও বা রোদ উঠছে, তবে ঝড়ো বাতাস বয়ে চলছে। টানা বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে কীর্তনখোলা তীরবর্তী চরবাড়িয়া, লামচড়ি, শায়েস্তাবাদের নিম্নাঞ্চলগুলো। সেইসঙ্গে বরিশাল নগরীর মধ্য দিয়ে বয়ে চলা খালগুলোর পানি যেমন নিচু এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে দিচ্ছে, তেমনি খালের সঙ্গে সংযুক্ত ড্রেনের মাধ্যমে রাস্তাঘাটে পানি উঠে আসছে। ফলে বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর সদর রোড, বগুড়া রোড, লঞ্চঘাট, পলাশপুর ও কাউনিয়ার বিভিন্ন স্থানে সড়কে পানি জমেছে। তবে জোয়ারের সময়ে পানি বাড়লেও ভাটায় তা কমে যায়।


বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মাসুম বলেন, সামনে পূর্ণিমা রয়েছে। এর আগে নদ-নদীর পানি প্রাকৃতিক নিয়মে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে। তবে বাতাসের গতি বেশি থাকায় স্বাভাবিক নিয়মের থেকে নদীর পানি বেশি বেড়েছে।


বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মোঃ মাসুদ রানা রুবেল জানান, গত ২৪ ঘন্টায় বরিশালে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। লঘুচাপের কারণে আগামী দুই থেকে তিনদিন মাঝারি ও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া নদী তীরবর্তি এলাকায় ২ থেকে ৪ ফুট প্লাবিত হতে পারে। অন্যান্য সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর এবং নদী বন্দরগুলোকে ২ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।