দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নইম উদ্দীন সেন্টুকে (৭০) তার কার্যালয়ে ঢুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এই নির্মম ঘটনাটি ঘটে।
নিহত নইম উদ্দীন সেন্টু মৃত মতলেব সরকারের ছেলে এবং ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চশমা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, চেয়ারম্যান যখন তার কার্যালয়ে ছিলেন, তখন অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজন দুর্বৃত্ত জানালার মাধ্যমে গুলি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
গ্রাম পুলিশের সদস্য নাসির উদ্দীন জানান, "১১টার দিকে ৩ থেকে ৪টি গুলির শব্দ শুনে আমি বাইরে এসে দেখি চেয়ারম্যান ঘরের ভেতরে পড়ে আছেন।" তিনি আরও বলেন, "গুলিগুলো পরিষদের বাইরে থেকে জানালা দিয়ে চালানো হয়েছে।"
নইম উদ্দীন সেন্টুর পরিবারও এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে। তার জামাতা হাসিবুর রহমান বিজয় ও ছেলের বৌ শামিমা খাতুন বলেন, "আমার শ্বশুরের সঙ্গে কারো শত্রুতা নেই। আমরা গুলির খবর পেয়ে এখানে এসে শুনি তিনি মারা গেছেন।"
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে বলেন, "আমরা এখানে এসেছি এবং বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিচ্ছি। নিহত চেয়ারম্যানের হত্যাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের তদন্ত চলছে।"
এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় জনগণ শোক প্রকাশ করে বলেন, "এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড আমাদের এলাকায় আশা করা যায়নি। আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ, এই ধরনের ঘটনার অবসান কামনা করি।"
এদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং রাজনৈতিক দলের সদস্যরা এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচার দাবি করেছেন। নিহত চেয়ারম্যানের শেষকৃত্যে স্থানীয়দের উপস্থিতি বেড়ে যাচ্ছে, যা হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।