পিরোজপুরের কাউখালীতে সন্ধ্যা নদীর ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪ কোটি ৫১ লক্ষ টাকার প্রকল্প প্রায় ৪ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। এই দীর্ঘ সময় ধরে কাজ শুরু না হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
চার বছর আগে পাইলিংয়ের জন্য মাত্র কিছু ব্লক ও জিও ব্যাগ খাদ্য গুদামের সামনে রেখে দেওয়া হলেও সেগুলো এখন শ্যাওলা ও আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নদীর তীব্র ভাঙনের কারণে যেকোন সময় বিলীন হতে পারে কাউখালীর ঐতিহ্যবাহী খাদ্য গুদামের ৫টি ভবন।
কাউখালী খাদ্য গুদাম এক সময় বরিশাল বিভাগের দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় খাদ্য সরবরাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। সরকারি খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য এখানে খাদ্য সামগ্রী সংরক্ষণ করা হতো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি নির্দেশ করছে যে, খাদ্য গুদামটি এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, "কাউখালী খাদ্য গুদাম অরক্ষিত এলাকা। দ্রুত কাজ না করলে যে কোন সময় নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।" তিনি আরো জানান, নদী ভাঙনের কারণে খাদ্য গুদামের সীমানা প্রাচীর, প্রবেশপথ ও জেটি বহু আগেই বিলীন হয়ে গেছে।
২০১৮ সালের জুলাই মাসে খাদ্য গুদাম সংলগ্ন নদীর তীর ভাঙন রক্ষা প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হলেও আজ পর্যন্ত কাজ শুরু না হওয়ায় এলাকাবাসী হতাশ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পিরোজপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, "কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করি পানি কমলে নভেম্বর মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।"
এভাবে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে, খাদ্য গুদামটির নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা আরো বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে খাদ্য গুদামের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।