নওগাঁর আত্রাইয়ে গ্রাম্য শালিসে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে গৃহবধূ কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে আত্রাই থানা পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হাতিয়াপাড়া গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩৫) হাতিয়াপাড়া গ্রামের স্কুল পড়-য়া মেয়ের অজান্তে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে কম্পিউটারের মাধ্যমে নগ্ন করে বেশ কয়েকজনকে দেখায়। ৩/৪দিন আগে এমন ঘটনা ঘটলে ওই সুত্র ধরে গত ২৬ জুন আনুমানিক রাত ৮ টায় ওই গ্রামে এক শালিসি বৈঠক বসে।
শালিসে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন, মহিলা ইউপি সদস্য আফরোজা ও গ্রাম্য মাতব্বরসহ বিপুল সংখ্যক লোক উপস্থিত ছিল। ওই শালিসে গৃহবধূকে ১০ টি বেত্রাঘাত ও ১৫ হাজার টাকা এবং মোবাইলে ছবি ধারণের অপরাধে অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনকে ৫ টি বেত্রাঘাত ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে গৃহবধূ রুবি (৩৩) জরিমানার টাকা দিতে না পারায় মাতব্বররা ঐ রাতেই তার ঘরের ফ্রিজ নিয়ে যান।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদি হয়ে গত বুধবার ইউপি সদস্য ইসমাইলসহ ১০ জনকে আসামি করে আত্রাই থানায় একটি মামলা দয়ের করেন। এ মামলায় বুধবার দিবাগত রাতে আত্রাই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাগুড়াপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন (৫৭), হাতিয়াপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন (৬০) ও রুহুল (২২) কে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মামুনুর রশিদ বলেন, আমার বাড়ির কাছে শালিস অথচ আমাকে ডাকা হয়নি এটা কেমন কথা। বিষয়টি দুঃখজনক।
এ বিষয়ে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তারেকুর রহমান সরকার বলেন, গ্রাম্য শালিসে এ ধরণের জরিমানা করার বা জোরপূর্বক ঘর থেকে ফ্রিজ নিয়ে যাওয়ার অধিকার তাদের নেই। মামলার ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।