কক্সবাজারের টেকনাফে ৫ দিন ধরে অপহৃত যুবক আতিক (২০) ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে ফিরেছেন। গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পরিবারকে তার মুক্তির খবর নিশ্চিত করেন আব্দু সালাম, আতিকের পিতা।
আতিক হ্নীলা ইউনিয়নের নাটমোরা পাড়ার আব্দু সালামের দ্বিতীয় ছেলে। পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা গেছে, ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮ টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে আতিক তার এক বন্ধুকে মুছনী গ্রামে পৌঁছাতে গিয়ে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার দুষ্কৃতকারীদের হাতে অপহৃত হন।
অপহরণের পর থেকেই পুলিশ এবং স্থানীয় লোকজন ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে আসছিল। টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ, স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো আলীসহ প্রায় ৩০০-৪০০ জন এলাকাবাসী গহীন পাহাড়ে অভিযানে অংশ নেন। অভিযানের সময় অপহরণকারীদের কয়েকটি আস্তানা ধ্বংস করা হলেও আতিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
অবশেষে, অপহরণকারীদের পুলিশি তৎপরতা এবং বারবার অভিযানের ভয়ে মুক্তিপণ নিয়ে আতিককে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে আব্দু সালাম বলেন, "আমার ছেলে আতিক মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছে, তাকে চিকিৎসার জন্য দেয়া হচ্ছে।" তবে তিনি মুক্তিপণের পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি। কিন্তু আতিকের মামা আবছার কামাল নিশ্চিত করেছেন যে, অপহরণকারীরা প্রথমে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন।
ফিরে আসার পর আতিকের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়া হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুষ্কৃতকারীরা আতিককে শারীরিক নির্যাতন করেছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে শঙ্কা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, অপহরণের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দুষ্কৃতকারীদের খুঁজে বের করার জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ ঘটনার পর থেকে টেকনাফের মানুষের মধ্যে নিরাপত্তার বিষয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।