হজ নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও তীব্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৯ই জুন ২০২০ ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
হজ নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও তীব্র

সারাবিশ্বের মতো সৌদি আরবেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতোমধ্যেই দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ও মৃতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। গত রবিবারও ২৪ ঘণ্টায় সৌদিতে মারা গেছে ৩৬ জন, নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৪৫ জন। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছর হজ অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

যদিও হজ স্থগিত বা এ নিয়ে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য এখনো আসেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে অচিরেই এ ধরনের ঘোষণা আসতে পারে। কারণ এরই মধ্যে সৌদি সরকার এ বছর হজের জন্য দেশটিতে না আসতে সারাবিশ্বের মুসল্লিদের আহ্বান জানিয়েছে। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ বছর ইন্দোনেশিয়া থেকে কেউ হজে সৌদি যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। গতকাল সোমবার এক খবরে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, সম্প্রতি লকডাউন শিথিলের পরপরই সৌদি আরবে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। গত শনি ও রবিবার দুদিনই ৩ হাজারেরও বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে সেখানে।

এর মধ্যেই সংক্রমণ ঠেকাতে গত শুক্রবার হজ ও ওমরাহ ঘিরে মুসলিমদের পবিত্র শহর মক্কায় যাওয়ার প্রবেশপথ বন্দরনগরী জেদ্দায় নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করে সৌদি সরকার। লকডাউনের মধ্যে বিকাল ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউও জারি করা হয়। মসজিদগুলোয় স্থগিত রাখা হয়েছে নামাজ। এ ছাড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব সরকারি ও বেসরকারি কর্মজীবীদের ঘরে থাকার। করোনা পরিস্থিতির কারণে এর আগেই ওমরাহ পালন স্থগিত করে সৌদি আরব। ওই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সৌদি আরবের রাজ পরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্স সৌদ বিন আবদুল্লাহ বিন ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। গত বৃহস্পতিবার তার মৃত্যুর কথা স্বীকার করে দেশটির রাজ পরিবার। যদিও রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে প্রিন্সের মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি করোনাতেই মারা গেছেন। কারণ নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি রাজ পরিবারের ১৫০ জন এখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে মিডল ইস্ট মনিটর জানায়, প্রিন্সের মৃত্যুর পর রাজ পরিবারের অনেক সদস্য হাসপাতাল ও ব্যক্তিগত ভিলায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।