প্রকাশ: ৫ জুলাই ২০২৫, ২৩:২৯
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
শেষ ওভারে রোমাঞ্চ, কাটারে কাবু জানিথ লিয়ানাগে, মাঠে ছড়িয়ে পড়া হেলমেট-গ্লাভস আর মুখভর্তি হতাশা—সবকিছু যেন গল্পের এক নাটকীয় মোড়। শেষ বলের আগেই ঠিক হয়ে গেল, জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বে বাংলাদেশ।
৭৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলে লড়াইটা জমিয়ে তুলেছিলেন জানিথ লিয়ানাগে। আগের বলেই হাঁকিয়েছিলেন ছক্কা। সেই উত্তেজনার রেশ কাটতে না কাটতেই মোস্তাফিজুর রহমানের করা এক কাটার সব হিসেব গুলিয়ে দেয়। এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে হতাশা আর রাগে নিজেকে সামলাতে পারেননি জানিথ।
পুরো ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন মোস্তাফিজ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে এক বলেই খেলে দিলেন বাজিমাত। বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়ে গেল ওই এক কাটারেই।
এর আগে তানভির ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অনেকটাই চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। তানভির ১০ ওভারে মাত্র ৩২ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। সাকিব ছিলেন আরও মিতব্যয়ী, ৭ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে শিকার করেন ২ উইকেট।
ব্যাটিংয়েও দায়িত্বশীল পারফরম্যান্স ছিল। দলের সংগ্রহ ছিল ২৩৬ রান। বিশেষ করে তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ইনিংস দলকে মাঝারি সংগ্রহ এনে দিতে সাহায্য করে। যদিও রানটা অনেক বড় ছিল না, তবে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং সেই রানকে পরিণত করে এক কঠিন লক্ষ্যে।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসে একসময় মনে হচ্ছিল জয় বুঝি তাদের হাতেই ধরা দেবে। কিন্তু ধীরে ধীরে চাপ বাড়িয়ে ফেলে বাংলাদেশের বোলাররা। শেষদিকে এসে সেই চাপ আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি স্বাগতিকরা।
এই জয়ের মাহাত্ম্য অনেক। গত ৭ মাসে একটিও জয় ছিল না বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে ফরম্যাটে। টানা ৭ ম্যাচ পর জয়ের স্বাদ পেলো টাইগাররা।
সিরিজে ১-১ সমতা ফিরে আসায় এখন সব কিছু নির্ভর করছে শেষ ম্যাচের ওপর। সিরিজের ফয়সালা হবে কলম্বোতে। তার আগে এই জয় বাংলাদেশ দলকে দিলো আত্মবিশ্বাসের এক টনিক।