প্রকাশ: ৫ জুলাই ২০২৫, ২২:১৫
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ নারী জাতীয় দল। ‘সি’ গ্রুপে থাকা লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ফুটবল বিশ্বে আলোড়ন তোলে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে মিয়ানমারের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়ে মূলপর্ব নিশ্চিত করে তারা। শনিবার অনুষ্ঠিত নিয়মরক্ষার তৃতীয় ম্যাচেও একই ধারায় তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল আসরে খেলার টিকিট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখাতে থাকে বাংলাদেশ দল। ম্যাচের মাত্র তিন মিনিটেই স্বপ্নার গোলে এগিয়ে যায় দলটি। এরপর একে একে শামসুন্নাহার দুইটি, মনিকা, ঋতুপর্ণা এবং তহুরা একটি করে গোল করে স্কোরলাইন দাঁড় করান ৬-০। এই ধাক্কায় তুর্কমেনিস্তানের কোচ ১৯ মিনিটে গোলরক্ষক বদল করতেও বাধ্য হন। এরপর কর্নার থেকে দুর্দান্ত এক গোল করে প্রথমার্ধেই নিজের দ্বিতীয় এবং দলের সপ্তম গোলটি করেন ঋতুপর্ণা চাকমা।
প্রথমার্ধেই ৭ গোল করে ম্যাচটি কার্যত নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে গোলের দেখা মেলেনি। মারিয়া, উন্নতিসহ অন্য খেলোয়াড়েরা আক্রমণে উঠলেও গোলের রূপ দিতে পারেননি। তুর্কমেনিস্তানের গোলরক্ষকও দ্বিতীয়ার্ধে বেশ দৃঢ় অবস্থান নেন, যার ফলে ম্যাচের বাকি অংশে কোনো গোল হয়নি। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধের ৭-০ ব্যবধানেই শেষ হয় ম্যাচটি।
এই জয়ে তিন ম্যাচে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ নারী দল। তাদের গোল ব্যবধানও হয়েছে চোখধাঁধানো—১৬টি গোল দিয়ে মাত্র একটি গোল হজম করেছে তারা। বাংলাদেশের এই পারফরম্যান্স এশিয়ান কাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নেওয়া এবং নারী ফুটবলে নতুন অধ্যায় সূচনার বার্তা দেয়।
২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান কাপের মূলপর্ব। সেখানে বাংলাদেশের নারী দলকে দেখা যাবে প্রথমবারের মতো। এমন কীর্তি দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। এই অর্জনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছে স্বপ্না-শামসুন্নাহাররা।