প্রার্থনা বা দোয়া করা উত্তম ইবাদত। এ দোয়া কবুলের জন্য দরূদের আবশ্যকতা অনেক বেশি। দরূদবিহীন কোনো দোয়াই আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না। এ কারণেই দোয়া কবুলে দোয়ার সময় আল্লাহ তাআলার প্রশংসা এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ পড়া অপরিহার্য।
দোয়ার সময় আল্লাহর প্রশংসা ও দরূদের ফজিলত বর্ণনায় রয়েছে হাদিসের অনেক বর্ণনা। আর তাহলো-
>> হজরত ফাজালা ইবনে উবাইদ রাদিয়াল্লাহু আনু বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক লোককে নামাজে দোয়া করতে শুনলেন। কিন্ত সে তাতে আল্লাহর প্রশংসা করেননি এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর দরূদও পড়েননি।
তা দেখে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘লোকটি তাড়াহুড়ো’ করলো।’ অতপর তিনি তাকে (ওই ব্যক্তিকে) ডাকলেন এবং তাকে বা অন্য কাউকে বললেন-
‘যখন তোমাদের কেউ নামাজ পড়বে (নামাজে দোয়া করবে) তখন সে যেন প্রথমে তার মহান প্রভুর প্রশংসা ও গুণগান করে অতপর নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর দরূদ পেশ করে। তারপর যা ইচ্ছা দোয়া করে।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি)
দরূদবিহীন দোয়া আল্লাহর কাছে পৌছে না। তাই দোয়ার সময় অবশ্যই আল্লাহর প্রশংসার পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামর প্রতি দরূদ পড়া। হাদিসে এসেছে-
>> হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যতক্ষণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর দরূদ পড়া হবে না ততক্ষণ তা বাধাগ্রস্ত অবস্থায় থাকবে। অর্থাৎ এ দোয়া আল্লাহ তাআলার কাছে পৌঁছবে না এবং এ দোয়া কবুল করা হবে না।’ (তাবারানি)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, দোয়ার শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা হিসেবে সুরা ফাতেহা পড়া এবং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ পড়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দোয়ার আগে আল্লাহর প্রশংসার পাশাপাশি বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ পড়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।