আর্থিক ও শারীরিকভাবে সক্ষম ব্যক্তির জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ। তবে যখনই সক্ষমতা আসে তখনই এ হজ আদায় করা জরুরি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- কারণ কোনো কারণে যদি যথাসময়ে হজ আদায় না করার ফলে পরবর্তীতে হজ করার সামর্থ্য না থাকে তবে তার ওপর থেকে হজের হুকুম বাদ যাবে না। তাই হজের সামর্থ্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আদায় করা জরুরি। হজের জন্য রোকনগুলো যথাযথ আদায় করা জরুরি। এর কোনোটি বাদ পড়লে হজ হবে না। আর যদি হজের ওয়াজিব তরক হয় তবে ফিদইয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। হজের রোকন ও ওয়াজিবগুলো তুলে ধরা হলো-
হজের রোকন
হজ পালনে রয়েছে ৪টি রোকন। এর কোনোটি বাদ গেল হজ হবে না। কাজগুলো হলো-
>> ইহরাম বাঁধা।
>> আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা।
>> ত্বাওয়াফে ইযাফাহ করা।
>> সাফা-মারওয়া সাঈ করা।
হজের ওয়াজিব
হজের রোকন ছাড়া আরও ৭টি কাজ করা আবশ্যক। যদি এগুলো কোনেটি ছুটে যায় তবে ফিদইয়া আদায় করাও ওয়াজিব। আর তাহলো-
>> নির্ধারিত মিকতা বা সীমানা থেকে ইহরাম বাঁধা।
>> আরাফাতের ময়দানে সুর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করা।
>> মুযদালিফায় রাত যাপন করা।
>> আইয়ামে তাশরিক্বের রাতগুলো মিনায় অতিবাহিত করা।
>> ১০ তারিখ জামরাতুল আক্বাবায় ও ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ তিন জামরায় কংকর নিক্ষেপ করা।
>> মাথা মুণ্ডন করে অথবা পুরো মাথার চুল ছোট করে ইহরাম থেকে বের হওয়া।
>> দেশে ফেরার আগে বিদায়ী তাওয়াফ করা।
উল্লেখ্য যে, যদি কেউ হজের ৪টি রোকনের কোনোটি আদায় করতে না পারে তবে তার হজ সম্পূর্ণ হবে না। হজ নষ্ট হবে। হজের রোকন তরকে কোনো ফিদইয়া নাই। তাকে পরবর্তী বছর আবারও হজ সম্পাদন করতে হবে। আর হজের ওয়াজিব তথা আবশ্যকীয় কাজগুলোর কোনোটি ছুটে যায়, তবে ফিদ্ইয়া আদায় করতে হবে হবে। ওয়াজিব বা আবশ্যকীয় কাজ তরক করলে ফিদইয়া আদায়ও আবশ্যক হয়ে যায়।
হজের ওয়াজিব তরককারীর ফিদইয়া হলো-
>> পশু (বকরি, দুম্বা, উট) কুরবানি করা।
>> ৬ মিসকিনকে ৩ ‘ছা’ পরিমাণ খাদ্য দেয়া। অথবা
>> ৩টি রোজা পালন করা।
এ ছাড়াও যদি কেউ তামাত্তু হজের হাদ্ই বা কুরবানি তরক করে তবে তাকে ১০টি রোজ পালন করতে হবে। ৩টি হজের মধ্যে আর বাকি ৭টি হজের পর বাড়ি ফিরে আদায় করতে হবে। এমনটিই মহান আল্লাহর নির্দেশ। হজের মধ্যে ৩ টি হলো ১১, ১২ ও ১৩ জিলহজ। (যদিও এ তারিখে সাধারণভাবে রোজা পালন করা নিষিদ্ধ কিন্তু ফিদইয়ার ৩ টি রোজা রাখা যায়। আল্লাহ তাআলা সব হজ পালনকারীকে যথাযথভাবে হজের রোকন ও ওয়াজিবগুলো পালন করার মাধ্যমে হজ সম্পন্ন করার তাওফিক দান করুন। হজে মাবরূর দান করুন। আমিন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।