প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০১৯, ১৬:৪৯
আর্থিক ও শারীরিকভাবে সক্ষম ব্যক্তির জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ। তবে যখনই সক্ষমতা আসে তখনই এ হজ আদায় করা জরুরি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- কারণ কোনো কারণে যদি যথাসময়ে হজ আদায় না করার ফলে পরবর্তীতে হজ করার সামর্থ্য না থাকে তবে তার ওপর থেকে হজের হুকুম বাদ যাবে না। তাই হজের সামর্থ্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আদায় করা জরুরি। হজের জন্য রোকনগুলো যথাযথ আদায় করা জরুরি। এর কোনোটি বাদ পড়লে হজ হবে না। আর যদি হজের ওয়াজিব তরক হয় তবে ফিদইয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। হজের রোকন ও ওয়াজিবগুলো তুলে ধরা হলো-
হজের রোকন
উল্লেখ্য যে, যদি কেউ হজের ৪টি রোকনের কোনোটি আদায় করতে না পারে তবে তার হজ সম্পূর্ণ হবে না। হজ নষ্ট হবে। হজের রোকন তরকে কোনো ফিদইয়া নাই। তাকে পরবর্তী বছর আবারও হজ সম্পাদন করতে হবে। আর হজের ওয়াজিব তথা আবশ্যকীয় কাজগুলোর কোনোটি ছুটে যায়, তবে ফিদ্ইয়া আদায় করতে হবে হবে। ওয়াজিব বা আবশ্যকীয় কাজ তরক করলে ফিদইয়া আদায়ও আবশ্যক হয়ে যায়।
হজের ওয়াজিব তরককারীর ফিদইয়া হলো-
এ ছাড়াও যদি কেউ তামাত্তু হজের হাদ্ই বা কুরবানি তরক করে তবে তাকে ১০টি রোজ পালন করতে হবে। ৩টি হজের মধ্যে আর বাকি ৭টি হজের পর বাড়ি ফিরে আদায় করতে হবে। এমনটিই মহান আল্লাহর নির্দেশ। হজের মধ্যে ৩ টি হলো ১১, ১২ ও ১৩ জিলহজ। (যদিও এ তারিখে সাধারণভাবে রোজা পালন করা নিষিদ্ধ কিন্তু ফিদইয়ার ৩ টি রোজা রাখা যায়। আল্লাহ তাআলা সব হজ পালনকারীকে যথাযথভাবে হজের রোকন ও ওয়াজিবগুলো পালন করার মাধ্যমে হজ সম্পন্ন করার তাওফিক দান করুন। হজে মাবরূর দান করুন। আমিন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর