
প্রকাশ: ৯ জুন ২০১৯, ১৬:২১

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, মানুষ ৩ সপ্তাহের প্রচেষ্টায় নিজেদের ভালো অভ্যাস গঠনে তৈরি করতে পারে। কোনো মানুষ যদি নিয়মিত ভালো কাজ করে তবে সে নিয়মিত কাজের একটি প্রভাব বা অভ্যাস তার মধ্যে তৈরি হয়। যেমন নিয়মিত নামাজ পড়লে নামাজের অভ্যাস তৈরি হয়, রোজা রাখলে রোজা পালনের অভ্যাস তৈরি হয় আবার মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে ধৈর্যধারণ করলে তাও তৈরি হয়। আর মুমিন মুসলমানের এ অভ্যাসগুলো তৈরিতে রমজান এক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। রমজানে যে ব্যক্তি নিয়মিত রোজা রাখে, নামাজ আদায় করে, ধৈর্যধারণ করে তবে এটা নিশ্চিত যে, আল্লাহর ইচ্ছায় সে ব্যক্তির মাঝে ভালো অভ্যাসগুলো তৈরি হয়। আবার রমজানের পরে অনেকেই সে ভালো গুণগুলো থেকে দূরে সরে যায়। এ কারণেই রমজানের ভালো অভ্যাসগুলো ধরে রাখার রয়েছে ৮টি উপায়। তাহলো-
>> সপ্তাহে ২দিন রোজা পালন
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘সোমবার এবং বৃহস্পতিবার মানুষের কাজের হিসাব আল্লাহর কাছে পৌছানো হয়। আর আমি এটি ভালোবাসি যে, রোজা পালনরত অবস্থায় আমার কাজে হিসাব পৌছানো হোক।’ (তিরমিজি)
>> দান অব্যাহত রাখা
>> নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত কুরআন পড়া
>> অর্থসহ কুরআন পড়া
>> কুরআনের জ্ঞান বাস্তবায়ন

>> দোয়া করা
>> প্রতিবেশি-বন্ধুসহ ভালো কাজে আগ্রহী হওয়া
>> প্রতিদিনই নিজেকে মূল্যয়ন করা
‘তোমার কিতাব (আমল বা কাজের হিসাব) পাঠ কর। আজ তোমার হিসাব (কাজের মূল্যয়ন) গ্রহণে তুমিই যথেষ্ট।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ১৪)
প্রতিদিন নিজের কাজের মূল্যয়ন অব্যাহত রাখলে গোনাহমুক্ত জীবন লাভ সম্ভব হবে। পরকালে নিজেদের কাজের হিসাপ প্রদানও হবে সহজ। আর তাতেই আলোকিত জীবন লাভ করবে মুমিন। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের পরবর্তী সময়ে উল্লেখিত কাজগুলো নিয়মিত পালন করার মাধ্যমে নিজেদের উন্নতি লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর