এবাদত কবুলের শর্ত সমূহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ১৬ই জানুয়ারী ২০১৯ ১২:৫৫ অপরাহ্ন
এবাদত কবুলের শর্ত সমূহ

মানব সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর ইবাদত করা। কারন মানুষ, এবং জ্বীন জাতিকে  পাক তার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। ইবাদত বলতে  নামাজ রোজা, হজ্ব,যাকাত শুধু এমন বড়বড় কয়েকটা বিষয় নয়,বরং এগুলোর সাথেসাথে  আমাদের চলা ফেরা আচার-আচরন লেনদেন আদান-প্রদান মামলা-মোকাদ্দমা ইত্যাদি সহ জীবনের সবকিছুই আল্লাহর হুকুম এবং রাসুল স.এর তরিকা অনুযায়ী করাও ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। একজন পূর্ন ইবাদতকারী হচ্ছে সে, যে তার জীবনের সবকিছুই  কোরআন-হাদীস অনুযায়ী গড়ে তোলে। আল্লাহ তা'আলা যে ইবাদতের জন্য আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, সেই ইবাদত আমাদের মনমত করলে হবে না বরং এমনভাবে ইবাদত বন্দেগী করতে হবে যাতে আল্লাহ তা'আলার নিকট তা গ্রহণযোগ্যতা পায়।

আমল গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য  কতিপয় শর্ত রয়েছে। আবুল লাইস সমরকন্দি রহ.এর মতে যেকোনো আমল কবুল হওয়ার চারটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা অপরিহার্য্য।

১.ইলম। কেননা ইলম ব্যতিত সহীহ শুদ্ধভাবে আমল করা সম্ভব নয়। আর আমল শুদ্ধ না হলে তা কবুলের প্রশ্নই উঠে না।
২.নিয়ত। কারন, নিয়ত ছাড়া কোনো আমলই ছাওয়াব লাভের উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয় না। আর কোনো কোনো আমল তো এমনও আছে যা নিয়ত ব্যতিত শুদ্ধই হয় না।
৩.সবর বা ধৈর্য। অর্থাৎ আমলকে খাটি ও বিশুদ্ধ করতে হলে প্রত্যেকটা আমল ধৈর্য এবং শান্তচিত্তে সম্পন্ন করা আবশ্যক।৪.এখলাছ। যে কোনো আমল আল্লাহ পাকের দরবারে গ্রহনযোগ্যতা লাভ করাতে হলে এখলাছ থাকতে হবে।

আর এখলাছ হচ্ছে তিনটি বিষয়ের সমষ্টির নাম। ১.যে ব্যক্তি পরকালের উদ্দেশ্যে আমল করবে আল্লাহ পাক তার পার্থিব কার্যাবলির জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবেন। ২.যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ঠিক রাখবে, অর্থাৎ এখলাছের সাথে নেক আমল করবে, আল্লাহ পাক তার  ও মানুষের মধ্যকার সম্পর্ককে ঠিক জরে দিবেন। ৩.যে ব্যক্তি নিজের আত্না তথা অভ্যন্তরীন অবস্থাকে ঠিক করে নিবে,আল্লাহ পাক তার বাহ্যিক অবস্থাকে ঠিক করে দিবেন। উল্লেখ্য যে, আমল খাটি করার জন্য সবচেয়ে বড় শর্ত হলো এখলাছ। এখলাছ অর্থ একমাত্র আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্যই ইবাদত করা।এর সাথে নিজের খেয়াল খুশি, মনের চাহিদাকে যুক্ত করা যাবে না।আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে সঠিকভাবে ইসলামকে বুঝে তার উপর আমল করার তাওফিক দান করুন,আমিন।

ইনিউজ ৭১/এম.আর