প্রকাশ: ৮ জুলাই ২০২৫, ১১:৭
আল্লাহ তাআলা বান্দার ছোট ছোট আমলকে বড় করে দেখেন। ইসলামে এমন বহু সহজ আমল আছে, যার মাধ্যমে একজন মুমিন জান্নাতের বিশাল মর্যাদায় আসীন হতে পারে। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচাও অর্ধ একটি খেজুর দান করে হলেও" (বুখারি, মুসলিম)। এ থেকে বোঝা যায়, সামান্যতম সদকা, নেক কাজ, বা সদ্ব্যবহার পর্যন্ত জান্নাতের দরজা খুলে দিতে পারে।
রাসূল (সা.) এর জীবনে আমরা বহুবার এমন উদাহরণ দেখি, যেখানে ছোট কাজকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করার কারণে মানুষ জান্নাত লাভ করেছে। একবার এক মহিলা একটি কুকুরকে পানি খাওয়ানোর কারণে জান্নাত লাভ করেন। অন্যদিকে, এক নারীর প্রতি নিষ্ঠুরতার কারণে তাকে জাহান্নামে পাঠানো হয়। এসব হাদীস আমাদের শেখায় যে, আল্লাহর কাছে সবকিছুই নিয়তের ওপর নির্ভর করে।
দুনিয়ার ব্যস্ত জীবনে অনেক সময় আমাদের মনে হয় যে, আল্লাহর পথে চলা কষ্টকর। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ইসলামের অনেক আমলই অত্যন্ত সহজ এবং বাস্তব জীবনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যেমন, সালামের মাধ্যমে সম্পর্ক জোরদার করা, হাসিমুখে কথা বলা, কারো কষ্ট লাঘব করা, পথের কাঁটা সরিয়ে দেয়া—সবই জান্নাতের পথে পাথেয়।
অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “একজন মানুষ ভালো কথার মাধ্যমে জান্নাতে পৌঁছে যায়, অথচ সে নিজেও বুঝতে পারে না” (তিরমিজি)। তাই আমাদের উচিত প্রতিদিন অন্তত একটি ভালো কাজ করার চেষ্টা করা—যেটা হয়তো দুনিয়ার দৃষ্টিতে তুচ্ছ, কিন্তু আখিরাতে হবে ওজনদার।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কুরআনে বলেন, “সুতরাং যে একটি অণু পরিমাণ ভালো কাজ করবে, সে তা দেখবে” (সূরা যিলযাল, ৯৯:৭)। এ আয়াত আমাদেরকে আশা ও উৎসাহ দেয়, যেন আমরা প্রতিটি ভালো কাজের গুরুত্ব বুঝে তা করি।
অতএব, চলুন আমরা প্রতিদিন অন্তত একটি ছোট ভালো কাজ করি—মুখে দোয়া, অন্তরে ক্ষমা, হাতে দান, পায়ে মসজিদগমন—যা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম হতে পারে। ছোট আমলের মাধ্যমেই হয়তো আল্লাহ আমাদের জান্নাতের দরজা খুলে দেবেন।