বাকেরগঞ্জে আওয়ামী লীগপন্থী প্রার্থীকে ঘিরে বিএনপিতে তোলপাড়, কাউন্সিল বর্জন

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ ও উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া স্বপন পাহোলান বিএনপির সভাপতি পদপ্রার্থী হয়েছেন। এছাড়াও বিতর্কিত ভোটার তালিকা ও বহিরাগতদের অনুপ্রবেশের অভিযোগে তিন নেতা— মো. খলিল পাহোলান, আক্কাস শিকদার ও মশিউর রহমান হাওলাদার—কাউন্সিল বর্জনের ঘোষণা দেন।

তাদের অভিযোগ, চরাদী ইউনিয়নের ৫১ সদস্যের ভোটার তালিকার মধ্যে ৪০ জনই আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির কর্মী বা সমর্থক। স্বপন পাহোলানকে সভাপতি করতে পরিকল্পিতভাবে তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি স্বপন পাহোলান ২০২৪ সালের জাতীয় ও উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা ও ভোটদান করেছেন বলে দাবি করেন নেতারা।

এই তিন প্রার্থী বলেন, তারা বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন, কিন্তু থানা বিএনপি কমিটি বিষয়টি আমলে নেয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে স্বপন পাহোলানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এই বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক এইচ এম ফরিদুল ইসলাম জানান, তারা কাউন্সিলের জন্য সমন্বিতভাবে ৫১ জনের ভোটার তালিকা করেছেন। স্বপনের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ শুনেছেন, তবে কোনো লিখিত প্রমাণ পাননি। তিনি বলেন, প্রমাণ পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহিন জানান, স্বপন পাহোলানের বিরুদ্ধে আগেই একটি অভিযোগ পেয়েছেন এবং তা তদন্তের জন্য বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপিকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

এদিকে কাউন্সিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিপি দুলাল বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা রয়েছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকে বিএনপির কমিটিতে জায়গা দেওয়া যাবে না। প্রমাণ মিললে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।