প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:২৬
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় দুষ্কৃতকারীদের সশস্ত্র হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মেজরসহ সেনা সদস্য ও পুলিশ কর্মকর্তারা গুরুতর আহত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
হামলায় মেজরসহ অন্তত ১৩ জন সেনা সদস্য আহত হন বলে জানা গেছে। এছাড়া গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও আরও দুই পুলিশ কর্মকর্তাও আহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, হঠাৎ এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে হতাহতদের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে।
এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি দিয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে জানানো হয়, হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ে এর অগ্রগতি জানানো হবে বলেও জানায় মন্ত্রণালয়।
খাগড়াছড়ি জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ছাবের বলেন, নিহত তিনজনের মরদেহ জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মরদেহগুলো গুইমারা থেকে আনা হয়েছে। তবে এখনো তাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে হামলার পরপরই সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। পুরো এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেয়া হয়েছে বিশেষ পদক্ষেপ।
এছাড়া খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। ফলে দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে, সড়কে কমে গেছে মানুষের চলাচল। পুরো এলাকা এখন থমথমে পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ এ হামলায় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তবে নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে অবস্থান করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারপরও অনিশ্চয়তার কারণে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে।