ঢাকায় চলমান বিচারিক প্রক্রিয়ায় আলোচিত একটি ফোনালাপ প্রকাশ পেয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার আন্দোলনকারীদের ওপর হেলিকপ্টার দিয়ে বোম্বিং করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে দাবি উঠেছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) তানভীর হাসান জোহা ৫৩তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দির সময় তিনি শেখ হাসিনা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর মধ্যে কথোপকথনের অডিও ক্লিপ আদালতে জমা দেন। চারটি অডিও শোনানো হয়, যেখানে শেখ হাসিনাকে আন্দোলন দমনে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দিতে শোনা যায়।
ইনু: আমি মনে করি যে আপনার পদক্ষেপটা সঠিকই হয়েছে। এখন পর্যন্ত যা রিপোর্ট বাংলাদেশে পাচ্ছি আর কি। খালি ঢাকাতে আপনার রামপুরার দিকে এবং শনির আখড়াতে...
হাসিনা: না, রামপুরা ক্লিয়ার। শনির আখড়ায় একটু ঝামেলা এখনো আছে।
ইনু: শনির আখড়ায় কিছু মোল্লারাই...
হাসিনা: খালি মোল্লা না, সেখানে অনেক মাদ্রাসা। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মাইকিং করতে বলেছি। নারায়ণগঞ্জে ঢুকতে দিচ্ছে না আর্মিকে। আমরা ছত্রীসেনা নামাচ্ছি।
হাসিনা: আমি বলছি, ক্যাজুয়ালটির দরকার নাই। ওরা ব্যারিকেড দিয়ে আছে তো, ঠিক আছে, আকাশ থেকে নামবে। কারণ, দুই পাশ দিয়ে ধরবে... ম্যাসেজটা দিয়ে দিতে পারেন।
হাসিনা: ছত্রীসেনা পাঠানো হচ্ছে। ঠিক আছে, হেলিকপ্টার দিয়ে সোজা বোম্বিং করা হবে। হেলিকপ্টার যাক, ওপর দিয়ে মারবে।
ইনু: আচ্ছা, ওপর দিয়ে সাউন্ড বোম যাবে আর কি।
আইও জোহা জানান, গত ২৩ ডিসেম্বর এনটিএমসি থেকে শেখ হাসিনার ৬৯টি অডিও ক্লিপ ও তিনটি নম্বরের সিডিআর জব্দ করা হয়। তার দাবি, আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা সরাসরি “লেথাল উইপন” ব্যবহারের নির্দেশ দেন এবং পরিকল্পিতভাবে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেন।