জাতিসংঘকে ব্যর্থ বললেন ট্রাম্প, জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রতারণা আখ্যা

দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর জাতিসংঘে প্রথম ভাষণে সংস্থাটির বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থতার দায় চাপান জাতিসংঘের ওপর। সেই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসন উৎসাহিত করা ও পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে এক ধরনের ‘আক্রমণ’ চালানোর অভিযোগও করেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘‘জাতিসংঘের উদ্দেশ্য আসলে কী? তাদের দেখা যায় শুধু কঠিন ভাষার চিঠি পাঠাতে। এসব ফাঁকা বুলি যুদ্ধ থামাতে পারে না।’’ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার বৈশ্বিক প্রচেষ্টার বিরুদ্ধেও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি একে ‘‘বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রতারণা’’ হিসেবে অভিহিত করেন।

৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ভাঙা এসকেলেটর ও খারাপ টেলিপ্রম্পটার নিয়েও কটাক্ষ করেন। তার দাবি, ‘‘জাতিসংঘ থেকে আমি যে দুটি জিনিস পেয়েছি, তা হলো একটি ভাঙা এসকেলেটর এবং একটি খারাপ টেলিপ্রম্পটার।’’

নিজের কৃতিত্বের প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, তিনি সাতটি যুদ্ধ বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন। তবে দুটি বড় সংঘাত—রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ এবং ইসরায়েল-গাজার যুদ্ধ—এর সমাধান আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। যদিও তিনি স্বীকার করেন, এই দুই সংকটে সাফল্য পাননি।

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ট্রাম্প অভিহিত করেন ‘‘হামাসের নৃশংস কর্মকাণ্ডের পুরস্কার’’ হিসেবে। তিনি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান হামাসের প্রতি। পাশাপাশি ইউরোপীয় মিত্রদের রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ না করায় কড়া সমালোচনা করেন তিনি। চীন ও ভারতের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুললেও রাশিয়ার ক্ষেত্রে তুলনামূলক নরম ছিলেন।

ট্রাম্পের ভাষণে অভিবাসন ইস্যুতেই সবচেয়ে কঠোর সুর শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘‘জাতিসংঘ পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে আক্রমণে অর্থায়ন করছে। উন্মুক্ত সীমান্তের ব্যর্থ পরীক্ষা শেষ করার সময় এসেছে। আপনাদের দেশগুলো ধ্বংসের পথে যাচ্ছে।’’ যুক্তরাজ্যের মুসলিম মেয়র সাদিক খানকেও তিনি কটাক্ষ করেন।