অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ‘কণ্ঠ শোনার’ প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশি’ অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের উপস্থিতিতে ফখরুল বলেন, “প্রফেসর ইউনূস যখন কথা বলছিলেন, বারবার মনে হচ্ছিল, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কথাই শুনছি। গণতান্ত্রিক ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনের যে স্বপ্ন ছিল, তার সমস্ত প্রতিফলন প্রফেসর ইউনূসের বক্তব্যে দেখা গেল।”
ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশে মানুষের সংগ্রাম, লড়াই এবং প্রতিবাদ বারবার প্রমাণ করেছে যে যেকোনো বিপদে জনগণ এক হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে জানে। জুলাই আন্দোলনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, দেশবাসী শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সর্বদা প্রতিবাদ করেছে।
তিনি বলেন, বয়োজ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতাদের সংগ্রামের পাশাপাশি তরুণদের ওপর আস্থা রাখতে হবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম আধুনিক চিন্তাশীল, এবং তাদের ধারণা ও সম্ভাবনাকে সমর্থন করার মতো মানসিকতা এবং সংগঠন দেশের জন্য অপরিহার্য।
ফখরুল যোগ করেন, “বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে এবং রাজনৈতিক অঙ্গীকার অপরিহার্য। আমাদের তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বকে সক্রিয় করে ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী দল গড়তে হবে।”
জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশন উপলক্ষে ড. ইউনূসের সঙ্গে নিউইয়র্ক সফরে রয়েছেন ছয়জন রাজনৈতিক নেতা। এর মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জামায়াত নেতা মোহাম্মদ নকিবুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং এনসিপির প্রথম সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা।