সাগরকণ্যা পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তিনদিন ব্যাপী রাস পূজা অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে সতের জোড়া রাধা কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা স্থাপনের মধ্য দিয়ে রাস পূজার অধিবাস শুরু হয়। এসময় ভাগবত পাঠ, আরতী, শাক, উলু-শঙ্খধ্বনি এবং নাম কির্তনে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো মন্দির প্রাঙ্গন।
কুয়াকাটা শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সনাতন ধর্মালম্বীরা রাসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পূর্ণিমার এ তিথিতে শুক্রবার ঊষালগ্নে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পাপ মোচন ও পূণ্য লাভের আশায় গঙ্গাস্নান করবে আগত পূর্ণার্থীরা। ইতিমধ্যে কুয়াকাটায় পূণ্যার্থীদের আগমন শুরু হয়েছে। ধর্মীয় আচার-আনুষ্ঠানের মধ্যেই এ উৎসব চলবে ৩দিন। দর্শনার্থী, পূণ্যার্থী এবং ভক্তদের নিরাপত্তায় কুয়াকাটায় কয়েক স্তরের নিরাত্তার দায়ত্বে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। থাকছে মেডিকেল টিম।
জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. জাহাংগির আলম শিপন জানান, যেহেতু বহু লোকের সমাগম তাই কেউ অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসা দিবেন এবং স্বাস্থ্য বিধি মানতে কুয়াকাটায় রাখা হয়েছে একাধিক মেডিকেল টিম।
কুয়াকাটা রাস পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজল বরন দাস জানান, বুধবার সন্ধ্যায় কুয়াকাটা শ্রীশ্রী রাঁধা কৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রম মন্দির প্রাঙ্গনে রাস পুজার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর রাতভর চলবে নাম কীর্ত্তন, ভাগবৎ পাঠ ও আরতী। পরের দিন-রাত আচার অনুষ্ঠান শেষে শুক্রবার ঊষালগ্ন থেকে রাস পূর্নিমা লগ্ন অনুযায়ী সাগর সৈকত কুয়াকাটার বীচে পাপ মোচন ও পুন্য লাভের আশায় নামবে পূন্যার্থী ও পর্যটকদের ঢল। একই দিন সকালে সিবিচে অনেকেই আবার ভিন্ন ভিন্ন মানত করা পূজা দিবেন পুরোহীত এনে। তবে শুধু পূণ্যার্থীরাই নয়, নানা ধর্ম-বর্নের মানুষ মিলিত হবে রাস পূজা, সমুদ্র স্নানানুষ্ঠানে।
কুয়াকাটা পৌর সভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জানান, কুয়াকাটা পৌরসভার উদ্যোগে মন্দির ও সাগর সৈকত এলাকায় ভাসমান টয়লেট, পরিধেয় বস্ত্র পরিবর্তন সেড, পর্যাপ্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ জানান, কুয়াকাটায় রাঁস পূর্নিমা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় হবে তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মন্দিরসহ জন-সমাগমস্থলে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। রয়েছে গোয়েন্দা নজরদারী। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন সার্বক্ষনিক তৎপর রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।