প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৫, ১২:২১
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের মাইক্রোক্রেডিট কার্যক্রমকে আরও সুসংগঠিত করতে আলাদা আইন এবং পৃথক একটি ব্যাংক গঠন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি মনে করেন, মাইক্রোক্রেডিট ব্যবস্থাপনাকে বর্তমান কাঠামোয় রেখে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়।
ড. ইউনূস বলেন, মাইক্রোক্রেডিট নিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনা এখন আর পুরনো ধারায় চলতে পারে না। এটি এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে নতুন করে নীতিমালা নির্ধারণ এবং আলাদা কাঠামো তৈরি করাই এখন সময়ের দাবি। এ প্রক্রিয়ায় মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং এনজিও খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। তারা প্রত্যেকে মাইক্রোক্রেডিট খাতের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এবং বর্তমানে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেসব বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
অনেকেই মনে করেন, দেশের দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখতে মাইক্রোক্রেডিট ব্যবস্থার অবদান অসামান্য। তবে সাম্প্রতিককালে এ খাতে অনিয়ম এবং সুদের হার নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান।
ড. ইউনূস বলেন, একটি নতুন ব্যাংকের মাধ্যমে শুধু মাইক্রোক্রেডিট পরিচালনা করলে এটি আরও স্বচ্ছ, কার্যকর এবং গ্রাহকবান্ধব হবে। পাশাপাশি এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও একটি দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে।
তিনি আরও জানান, একটি আলাদা আইন না থাকলে এই খাতকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ে। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিকে তিনি আহ্বান জানান, এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে।
অনুষ্ঠান শেষে ড. ইউনূস এমআরএর নতুন ভবনের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং এর আধুনিক সুযোগ-সুবিধার প্রশংসা করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই ভবন থেকে দেশের মাইক্রোক্রেডিট খাত একটি নতুন দিকনির্দেশনা পাবে।