প্রকাশ: ৩ জুলাই ২০২৫, ১৫:২৮
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
প্রস্তাবিত ‘টেলিকম নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং রিফর্ম পলিসি ২০২৫’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির মতে, খসড়া নীতিমালাটিতে কিছু ধারা টেলিকম খাতে বৈষম্য সৃষ্টি করতে পারে এবং বড় কোম্পানির সুবিধা নিশ্চিত করে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য প্রতিকূলতা তৈরি করতে পারে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব আশঙ্কা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নীতিমালার উদ্দেশ্য যদিও লাইসেন্সিং সহজীকরণ, প্রযুক্তি খাতে অগ্রগতি এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, তবুও এতে রয়েছে কিছু গুরুতর অস্পষ্টতা ও দুর্বলতা।
তিনি জানান, এই প্রস্তাবনায় এমন কিছু ধারা রয়েছে যা বড় মোবাইল অপারেটরদের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা নিশ্চিত করতে পারে। এতে করে এসএমই খাত এবং স্থানীয় উদ্যোক্তারা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে, যা ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্যকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
ফখরুল আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে এত গুরুত্বপূর্ণ খাতে হঠাৎ করে নীতিমালা ঘোষণা দায়িত্বশীলতার পরিচয় নয়। সঠিক পলিসি তখনই সম্ভব যখন সেটি আর্থিক ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়নের ভিত্তিতে এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে গৃহীত হয়।
তিনি জানান, প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মালিকানা সীমা নিয়ে অস্পষ্টতা আছে, যা ভবিষ্যতে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে পারে। তদুপরি, ক্রস-ওনারশিপের বিষয়ে নির্দিষ্ট ব্যাখ্যার অভাবে বড় কোম্পানিগুলো সহজেই বাজার নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে।
বিএনপি আশঙ্কা প্রকাশ করে জানায়, এই খসড়ায় স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড বা অন্যান্য উদীয়মান ডিজিটাল সেবা নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। এতে নতুন উদ্যোক্তারা বিভ্রান্ত হতে পারে এবং বিনিয়োগে ধীরগতি দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির নামে যদি বৃহৎ করপোরেট স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, তবে সাধারণ জনগণ ও স্থানীয় প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন হুমকির মুখে পড়বে।
ফখরুলের মতে, এই খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করার আগে সব পক্ষের মতামত নিয়ে এবং পর্যাপ্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, অন্যথায় এটি খাতটির ভারসাম্য নষ্ট করবে।