দুর্গম পদ্মার চরাঞ্চল শরীয়তপুরের চরআত্রা ও নওপাড়া ইউনিয়নের ৫০০ পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন করা হয়েছে। পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম শনিবার দুপুরে এর উদ্বোধন করেন। চরআত্রা আজিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সুধি সমাবেসে সুইচ চেপে বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন করা হয়। পদ্মার তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে দুর্গম ওই চরে বিদ্যুৎ নেয়া হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপউপাচার্য অধ্যাপক তাজুল ইসলাম,পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন,জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের,পুলিশ সুপার এসএম আশ্রাফুজ্জামান,জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেদুর রহমান খোকা সিকদার,সাধারন সম্পাদক অনল কুমার দে,উপমন্ত্রীর স্ত্রী তাহমিনা আক্তার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভির আল নাসিফ প্রমূখ। উপমন্ত্রী এ সময় নওপাড়া ভূমি কার্যালয়ের ভবন,নওপাড়া মুন্সি আজিজুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের নামকরন,চরআত্রা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান প্রায়ত আলিমুজ্জামনের নামে সড়ক ও চরআত্রা আজিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কলেজ শাখার উদ্বোধন করেন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের পদ্মা নদীর তীর থেকে চরগুলোর দূরত্ব ৬ থেকে ৭ কিলোমিটার। নদীর ওই দূরত্ব দিয়ে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ-সংযোগ দিতে পারছিল না। শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের উদ্যোগে মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ওই চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু করে গত বছর ফেব্রুয়ারী মাসে। মুন্সিগঞ্জের দীঘীরপাড় আর নড়িয়ার নওপাড়ার মধ্যে পদ্মা নদীর দৈর্ঘ্য ১ কিলোমিটার। ওই ১ কিলোমিটার অংশ সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের সঞ্চালন লাইন আনা হয়।ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য নওপাড়া ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। দুর্গম চরাঞ্চলে সাবমেরিন কেবলের ও সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হবে শরীয়তপুরের চারটি ও চাঁদপুরের তিনটি ইউনিয়নের ২০ হাজার পরিবারকে। এর মধ্যে শরীয়তপুরের চারটি ইউনিয়নের ১৬ হাজার পরিবারকে বিদ্যুৎ দেয়ার জন্য ৩৮৪ কিলোমিটার সঞ্চাল লাইন স্থাপন করা হয়েছে। পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, গত সংসদ নির্বাচনের সময় ওই চরগুলোর মানুষদের বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। এক বছরের মধ্যেই চরের ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো জালাতে পেরেছি। আমার জন্মভূমি চরআত্রা। নদী ভাঙনের কারনে ঠিকানা পরিবর্তন হয়েছে। আমি চরের মানুষের দুর্ভোগ উপলব্দি করতে পারি। মুজিব বর্ষের মধ্যেই চরের প্রত্যেকটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।