প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ২১:৪৪
জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে ১৬ জুলাই রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, দেশের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি ভবনে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতেও এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে। এর মাধ্যমে শহীদদের আত্মত্যাগকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা জানানো হবে বলে মনে করছে সরকার।
শোক দিবস উপলক্ষে দেশের প্রতিটি মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হবে। অন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন শহীদদের স্মরণে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করছে। আলোচনা সভা, স্মরণানুষ্ঠান ও প্রদীপ প্রজ্বালনের মতো আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সরকার মনে করছে, এই রাষ্ট্রীয় শোক পালনের মধ্য দিয়ে জাতীয় চেতনাবোধ আরও সুদৃঢ় হবে। জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে শহীদদের স্মরণ ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হিসেবে প্রতিভাত হবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে এদিনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শোক দিবসকে ঘিরে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে প্রস্তুত থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রথম সরকারিভাবে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা শহীদদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতে দিবসটি জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ হয়ে উঠবে বলেও তাদের বিশ্বাস।
এই উপলক্ষে জনগণকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দিবসটির মর্যাদা রক্ষায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। একযোগে শোক প্রকাশ ও শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাবনত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।