প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৬:৯
তরুণ প্রজন্মের অসাধারণ সাহস ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে যা ঘটেছে, তা দেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সদ্য নিযুক্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুটের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ড. ইউনূস বলেন, দেশে যখন আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন জাতীয় অবস্থা ছিল এক ধরনের ভূমিকম্প পরবর্তী ধ্বংসস্তূপের মতো। কোনও অভিজ্ঞতা ছাড়াই সেই সঙ্কটের মুহূর্তে আমরা যাত্রা শুরু করি। তবে উন্নয়ন সহযোগীদের আন্তরিক সমর্থন আমাদের সাহস জুগিয়েছে।
তিনি বলেন, জুলাই মাসে তরুণরা জাতিকে একটি নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছে, একটি নবযাত্রার প্রেরণা জুগিয়েছে। এই প্রজন্ম নিজেদের অসাধারণ ভূমিকায় গণ-অভ্যুত্থানকে বিজয়ে পরিণত করেছে। নারীদের অংশগ্রহণ ও সাহসিকতা বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো। আমাদের ভবিষ্যৎ চিন্তায় তরুণদের কেন্দ্রে রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশকে যেন তারা কেবল একটি ভৌগোলিক সীমানার রাষ্ট্র হিসেবে না দেখে, বরং একে একটি শক্তিশালী ও গতিশীল অর্থনৈতিক সম্ভাবনার কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করে। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ নিজস্ব গতিতে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলেছে এবং উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের অপেক্ষায় আছে।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, বাংলাদেশ একটি উদীয়মান সম্ভাবনার দেশ এবং এই অগ্রযাত্রায় বিশ্বব্যাংক সব সময় পাশে থাকবে। তিনি দেশের চলমান সংস্কার, সুশাসন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রশংসা করেন এবং বলেন, বিশ্বব্যাংক নতুন কর্মসূচি নিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
এই সাক্ষাতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রসঙ্গ উঠে আসে। ড. ইউনূস বলেন, দেশ গঠনে আমরা নতুন করে শুরু করেছি, আমাদের লক্ষ্য দীর্ঘমেয়াদি শান্তি, উন্নয়ন ও মানবিক মর্যাদার ভিত্তিতে একটি সুবিন্যস্ত রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা।