বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত হতে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা পর্যন্ত রেলপথের বেশ কয়েকটি রেলসেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রেলসেতুতে দেখা গেছে রেললাইনের সঙ্গে স্লিপার সংযুক্ত রাখতে লোহার নাটবোল্টের পরিবর্তে বাঁশ ও কাঠের টুকরো গুঁজে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি স্থানে সেতুর কাঠের তৈরি স্লিপার নষ্ট হয়ে গেছে। কালিহাতী উপজেলার জোকারচর রেলসেতুতে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুর সঙ্গে রেললাইন আটকাতে বেশ কিছু স্থানে ক্লিপ নেই। গর্তগুলোতে লোহার বোল্ট গুঁজে দিয়ে তা নাট দিয়ে আটকানোর কথা থাকলেও সেখানে বাঁশ ও কাঠের টুকরো ঢুকানো। আবার অনেক স্থানে বোল্ট আছে কিন্তু সেগুলো আটকানোর মতো নাট দেখা যায়নি। লোহার নাটগুলো চাইলেই হাত দিয়ে টেনে তোলা যাচ্ছে। সেতুর একপাশে লোহার পাতগুলো খুলে রয়েছে। শুধু জোকারচর নয়, ঐ রেললাইনের বেশ কিছু সেতুতে এমন চিত্র দেখা গেছে। জানা গেছে, এই রেলপথ দিয়ে দৈনিক ২৬টি ট্রেন যাতায়াত করে।
জয়দেবপুর রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বদিক হতে জয়দেবপুর পর্যন্ত রেলসেতুগুলো ১৯৯৮ সালের পর আর সংস্কার করা হয়নি। এরমধ্যে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট টাঙ্গাইলের পুংলী রেলসেতুর এপ্রোচ ধসে পড়ে। এতে অল্পের জন্য উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী একটি ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায়। সম্প্রতি সেই পুংলী রেলসেতুর দুইপাশের এপ্রোচ সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই সেতুর উপর রেললাইনের ক্লিপগুলো খুলে রয়েছে। কিন্তু এ দিকে যেন কারো নজর নেই। জয়দেবপুর রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী নাজিব কায়সার বলেন, টাঙ্গাইলের পুংলী ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ হবে। তবে তিনি দাবি করেন বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বদিক হতে জয়দেবপুর পর্যন্ত সেতুগুলোতে কোনো সমস্যা বা ঝুঁকি নেই। সেতুগুলো পুরনো হওয়ায় কিছু কিছু সেতুর কাঠের স্লিপার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু লোহার নাটবোল্টের বদলে বাঁশ-কাঠ ব্যবহার করা হয়নি।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।