ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে যে কারনে দাওয়াত পেল না মোদী

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার ১৭ই জানুয়ারী ২০২৫ ০৯:৫১ অপরাহ্ন
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে যে কারনে দাওয়াত পেল না মোদী

আর মাত্র দুই দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতাধর এই দেশের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিভিন্ন দেশের নেতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের। তবে আমন্ত্রণ পাননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।  


সাধারণত মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে বিদেশি কূটনীতিকদের সৌজন্যমূলক অংশগ্রহণ দেখা যায়। তবে ট্রাম্প প্রচলিত রীতিনীতির তোয়াক্কা না করে অনেক বিদেশি নেতাকে সরাসরি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অতিথিদের তালিকায় রয়েছে ইউরোপ, এশিয়া এবং উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের নাম।  


বিশেষত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলেই এবং হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ভিক্টর অরবানের নাম উল্লেখযোগ্য। যদিও শি-জিনপিং এবং অরবান সরাসরি অংশ নেবেন না বলে জানা গেছে।  


ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা নিশ্চিত করেছেন। তবে মোদির নাম না থাকা নিয়ে ভারতীয় রাজনীতিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। চীনের পক্ষ থেকে শি জিনপিং না গেলেও তার শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছানোর জন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে।  


অতিথিদের তালিকায় আরও দেখা গেছে এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া এবং ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর নাম। তাদের উপস্থিতি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  


ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিরাও আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এলন মাস্ক, জেফ বেজোস এবং মার্ক জাকারবার্গের উপস্থিতি প্রযুক্তি ও অর্থনীতির প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের আগ্রহ প্রকাশ করে।  


বিশ্বনেতাদের পাশাপাশি ডানপন্থি ও জাতীয়তাবাদী নেতাদের অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা চলছে। ট্রাম্প প্রশাসনের বৈদেশিক সম্পর্কের ধরন ও ভবিষ্যৎ নীতির আভাস এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্পষ্ট হবে বলে অনেকেই মনে করছেন।  


শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে এমন বৈচিত্র্যময় অতিথি তালিকা শুধু আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু নয়, বরং বৈশ্বিক রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত বহন করছে।