টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাজাহান ভুঁইয়া নামে এক মুক্তিযোদ্ধার মুক্তিযুদ্ধের সনদপত্র ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার (২৪ নভেম্বর) এই অভিযোগ তদন্ত করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মুক্তিযুদ্ধের সনদপত্র ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে ওই চিকিৎসককে বরখাস্ত করে তার বিচার দাবি করেছেন কৃষক শ্রমিক ও জনতালীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম।
এরআগে সকালে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে চিকিৎসকের বিচার দাবি করেন তিনি। এপ্রসঙ্গে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “একজন মুক্তিযোদ্ধার সনদ টেনে ছিঁড়ে ফেলেছেন ডা. শহীদুল্লাহ। এজন্য তাকে অনতিবিলম্বে বরখাস্ত করা উচিত।” একইসঙ্গে তার চিকিৎসা সনদ কেড়ে নিয়ে গ্রেপ্তারের দাবিও জানান তিনি।
শাজাহান ভুঁইয়া জানান, গত ১৭ নভেম্বর তিনি কোমর ও পায়ের গোড়ালির ব্যথা নিয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। গত ২১ নভেম্বর সকালে হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ কায়সার রাউন্ডে গিয়ে রোগীর ফাইল দেখছিলেন। সে ফাইলের ওপর শাজাহানের মুক্তিযোদ্ধার সনদের ফটোকপি ছিল। সনদটি দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে সেটি ছিঁড়ে ফেলেন ওই ডাক্তার।
এপ্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, “হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সদর উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে এবিষয়ে ডা. শহীদুল্লাহ কায়সারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।