প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৫, ১৮:২৪
শনিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ১৪টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেল ৫টায় শুরু হওয়া এই বৈঠকে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সমাধান পথ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকে জাতীয় গণফ্রন্টের আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, ১২ দলীয় জোটের মোস্তফা জামাল হায়দার, নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ জাসদের ড. মুশতাক হোসেন, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, জাকের পার্টির শামীম হায়দার, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, ভাসানী জনশক্তি পার্টির রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মার্কসবাদী বাসদ সমন্বয়ক মাসুদ রানা ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মন্জুরুল ইসলাম আফেন্দী অংশ নেন।
বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা, আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনঃস্থাপন এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে আলোচনার গুরুত্ব আরোপ করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বক্তব্য দেন, যে সকল রাজনৈতিক দল জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলবে এবং দেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য কাজ করবে তাদের প্রতি সরকার আন্তরিক সমর্থন জানাবে।
গত ২২ জুলাই প্রধান উপদেষ্টা চারটি প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে দেশের চলমান সংকট নিরসনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এরপর ২৩ জুলাই ১৩টি দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। এই ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসেবে শনিবারের এই আলোচনা দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজনীতির বিভিন্ন স্তরের নেতারা একযোগে কাজ করে দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার জন্য প্রস্তুত আছেন। আগামী দিনে এসব বৈঠক থেকে যে সুপারিশ আসবে তা দেশের সকল রাজনৈতিক দলের মাঝে সংলাপ ও সহযোগিতার নতুন সূচনা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই ধরনের বৈঠক দেশের বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের পথ দেখাতে পারে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় সহায়ক হবে। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি সংলাপ ও ঐক্য প্রতিষ্ঠা হওয়াই দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।