ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে নির্যাতিত ছাত্র জনতার আন্দোলন ও তাদের সংগ্রামের বিষয়ে আলোচনা করতে কালকিনিতে গণসংযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান নাহিন। রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনি উপজেলার বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের সাথে আলোচনা করেন।
সকালে মস্তফাপুর থেকে কালকিনি উপজেলা পর্যন্ত মটরসাইকেল ও গাড়ি বহরের মাধ্যমে নাহিনকে আনতে ছাত্র জনতা এগিয়ে আসে। এরপর তিনি কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এর পর দুপুরে মিয়ার হাট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের সাথে আলোচনা করেন।
গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যেমন রাকিব হাওলাদার, রুহুল আমিন হাওলাদার, আরিফ হাওলাদার, নুরুজ্জামান আরাফাত, বেলাল মীর, লিটন শিকদার এবং আকন মো: মনির। এসব নেতৃবৃন্দ নাহিনের সঙ্গে একযোগে আন্দোলনের ইতিহাস ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
কামরুজ্জামান নাহিন তার বক্তব্যে বলেন, ‘সর্বদা আমি আপনাদের পাশে ছিলাম এবং আগামীতেও থাকব ইনশাআইল্লাহ।’ তার এই বক্তব্যে উপস্থিত ছাত্ররা উজ্জীবিত হন এবং আগামী দিনের সংগ্রামে একত্রিত থাকার অঙ্গীকার করেন।
নাহিন আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সে কারণেই ছাত্র সমাজের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি। তিনি বিভিন্ন আন্দোলনে ছাত্রদের অবদানকে স্মরণ করে বলেন, দেশের ভবিষ্যত ছাত্রদের হাতেই।
তবে, গণসংযোগের সময় ছাত্র নেতারা সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দাবি করেন, ছাত্রদের জন্য আরও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
এদিনের আলোচনার পর নাহিন কালকিনির বিভিন্ন এলাকার ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন এবং তাদের সমর্থন কামনা করেন।
কালকিনিতে নাহিনের এই গণসংযোগ প্রমাণ করে যে, তিনি ছাত্র সমাজের প্রতি তার অঙ্গীকার ও সম্পর্ক মজবুত রাখতে চান। ছাত্র আন্দোলনে তার অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এদিনের সভায় স্পষ্ট হয়ে উঠে।
গণসংযোগ শেষে নাহিন উপস্থিত নেতৃবৃন্দের সাথে ছবি তোলেন এবং ছাত্রদের মধ্যে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।